করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে পশ্চিমবঙ্গে ২০২০ সালের মার্চে প্রথম কোনো ব্যক্তির মৃত্যু হয়। এরপর ওই বছরের ৩ মে করোনায় কারো মৃত্যু হয়নি বলে দাবি করা হয়েছিল। এর ১০ মাস পর গতকাল সোমবার কলকাতায় করোনায় কেউ মারা যাননি। তবে সংক্রমণের হার নিয়ে উদ্বেগ বেড়েছে।
Advertisement
সোমবার (১ মার্চ) সন্ধ্যায় পশ্চিমবঙ্গ স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিনে বলা হয়, এ রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় একজনেরও মৃত্যু হয়নি। রাজ্যে প্রথম করোনা আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছিল গত বছরের ২৩ মার্চ। অর্থাৎ, ২২ মার্চ পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে করোনায় মৃতের সংখ্যা ছিল শূন্য। তারপর মে মাস পর্যন্ত কখনও একাধিক মানুষ করোনায় মারা গেছেন, আবার এমন অনেক দিন ছিল যখন একজনেরও মৃত্যু হয়নি। তবে ৩ মে’র পর থেকে প্রতিদিন করোনায় কেউ না কেউ মারা গেছেন। এর পর গতকাল কেউ মারা যায়নি। ফলে পশ্চিমবঙ্গে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা ১০ হাজার ২৬৮ জনই রয়েছে।
সোমবারের বুলেটিনে আরও বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১৯৮ জন, রোববারের তুলনায় ৬ জন বেশি। সোমবারের সংখ্যা মিলিয়ে রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৭৫ হাজার ৩১৬ জনে।
তবে ২৪ ঘণ্টায় নতুন আক্রান্তের সংখ্যা খুব বেশি বাড়েনি। কিন্তু সংক্রমণের হারের দিকে নজর দিলেই বোঝা যাবে সংক্রমণের আসল প্রবণতা। প্রতিদিন যত সংখ্যক নমুনা পরীক্ষা হয়, তার মধ্যে যত প্রতিবেদন পজিটিভ আসে, তার শতকরা হিসাবকেই বলা হয় ‘পজিটিভিটি রেট’ বা ‘সংক্রমণের হার’। সোমবারের বুলেটিনে এই হার ১.২৪ শতাংশ। রোববার এই হার ছিল ০.৯৭ শতাংশ। রোববার নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা ছিল ১৯ হাজার ৭৬৪। সোমবার সেই সংখ্যা কমে হয়েছে ১৬ হাজার ১৪। এত সংখ্যক কম নমুনা পরীক্ষার পরও আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ায় সংক্রমণের হারও বেড়েছে।
Advertisement
এদিকে সুস্থতার হার অপরিবর্তিত রয়েছে। সোমবারের বুলেটিন অনুযায়ী এই হার ৯৭.৬৪ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২১২ জন। এ নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে সুস্থ হয়েছে ৫ লাখ ৬১ হাজার ৭৫৫ জন। এই মুহূর্তে রাজ্যে সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩ হাজার ২৯৩ জন।
গতকাল সোমবার রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যায় শীর্ষে ছিল কলকাতা। গত ২৪ ঘণ্টায় মহানগরে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৬২। দ্বিতীয় স্থানে থাকা উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৮ জন। হাওড়ায় ১৪ জন, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ১১ জন, পশ্চিম বর্ধমানে ১০ জন, বাঁকুড়ায় ১০ জন এবং দার্জিলিংয়ে ১০ জন আক্রান্ত হয়েছেন।
এমএসএইচ/জেআইএম
Advertisement