দেশজুড়ে

শাহরাস্তির সম্ভাব্য প্রার্থীদের চোখে ঘুম নেই

চাঁদপুরের শাহরাস্তি পৌরসভায় নির্বাচনী হাওয়া বইতে শুরু করেছে। নির্বাচন কমিশন ঘোষিত ২৮৫টি পৌরসভার মধ্যে প্রথম দফায় এ পৌরসভা পড়ায় এখানে ভোটের  হাওয়া ইতিমধ্যে বইতে শুরু  করেছে।ইতোমধ্যে মেয়র ও কাউন্সিলর পদে সম্ভাব্য প্রার্থীরা ছবি সম্বলিত রঙিন পোস্টার, ব্যানার, স্টিকার ও ফেস্টুন ঝুলিয়েছে। আর মাধ্যমে তারা তাদের পরিচয় জানানোর কাজটি সম্পন্ন করেছেন। এখন কর্মীদের নিয়ে পৌর এলাকার পাড়া-মহল্লা, অলি-গলি, হাট-বাজার, চায়ের দোকানসহ যাকে যেখানে যেভাবে পাচ্ছেন, সেখানে কুশল বিনিময় ও শুভেচ্ছা নিবেদন করছেন। ইতিমধ্যে কাউন্সিলর প্রার্থীদেরও চোখে ঘুম নেই। তারা রাত-দিন পাড়া-মহল্লায়, চায়ের আড্ডায় ভোট প্রার্থনায় সময় পার করেছেন। এদিকে, শাহরাস্তি পৌরসভার নির্বাচনী ভোটার এলাকা বর্ধিত হয়েছে। পৌরসভাটি পূর্বে ৯টি ওয়ার্ড নিয়ে `গ` শ্রেণিতে থাকলেও গত পাঁচ বছরে ১২টি ওয়ার্ডে বৃদ্ধি পেয়ে প্রথমে `খ` ও পরে `ক` শ্রেণিতে উন্নীত হয়। বর্তমানে যার ভোটার সংখ্যা ২৫৭৩২ জন। যার মধ্যে পুরুষ ভোটার ১২৮০৮ জন ও মহিলা ভোটার ১২৯২৪ জন। এদিকে ভোটাররাও অতীত-বর্তমান মেয়রের কর্মকাণ্ড নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ শুরু করেছেন।ভোটাররা আগামীতে কাকে মেয়র বানাবেন তা নিয়েও হিসাব কষতে শুরু করেছেন। হঠাৎ করে দলীয়ভাবে নির্বাচনের সরকারি প্রজ্ঞাপন জারির পর থেকে মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা দলীয় সমর্থন পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। যারা মনোনয়ন বঞ্চিত হবেন বলে ধারণা করছেন তারা ঠিক করছেন নির্বাচনী কৌশল। আসন্ন এ নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনী মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র মোশারফ হোসেন পাটওয়ারী। বর্তমান মেয়র জেলা বিএনপি অনুমোদিত যুগ্ম-আহ্বায়ক মো. মোস্তফা কামাল। জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও বিশিষ্ট শিল্পপতি হাজী আব্দুল লতিফ। সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা রুস্তম আলীর ছেলে সাবেক ছাত্রনেতা নেয়ামুল করিম পিন্টু। শাহরাস্তি পৌর উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির উপদেষ্টা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আব্দুল্লাহ আল মামুন। বিএনপির পৌর কমিটির ত্যাগী নেতা ব্যবসায়ী মো. ফারুক হোসেন। যুবলীগের আহ্বায়ক ও সাবেক ছাত্রনেতা মো. তোফায়েল আহমেদ ইরান, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য মো. মাহবুবুল আলম চৌধুরী প্রমুখের নাম শোনা যাচ্ছে। বর্তমানে নির্বাচনী মাঠে আওয়ামী লীগের ছয় ও বিএনপির দুইজন মেয়র প্রার্থীর নাম শোনা যাচ্ছে। সব মিলিয়ে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন কার ভাগ্যে জোটে এবং বাকিরা কি সিদ্ধান্ত নেন সে পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। অন্যদিকে, বিএনপির দলীয় ভোটাররা জাগো নিউজকে জানিয়েছেন, সম্প্রতি দলীয় গৃহদাহ, ১৪৪ ধারা জারি, রাজনৈতিক বিভাজন সবমিলে তাল-মাতাল অবস্থাকে গুডবাই জানিয়ে দল থেকে একক প্রার্থী দিয়ে মেয়র পদটি পুনরুদ্ধার করতে পারে কিনা তা এখন দেখার বিষয়। আওয়ামী লীগও মেয়র পদটি পুনরুদ্ধোরের জন্য মরিয়া হয়ে উঠছে। ইকরাম চৌধুরী/এআরএ/আরআইপি

Advertisement