জাতীয়

চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনার জট কমাতে স্টোররেন্ট দ্বিগুণ

এই মুহূর্তে চট্টগ্রাম বন্দর ইয়ার্ডে কনটেইনার ৪০ হাজার এককের বেশি। ৪৯ একক ধারণক্ষমতার বন্দরে ইতোমধ্যে ধারণ ক্ষমতার বাইরে চলে যাওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। যে কারণে এফসিএল কনটেইনার সরিয়ে নিতে নোটিশও দিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। কিন্তু এতেও কাজ না হওয়ায় এবার স্টোররেন্ট দ্বিগুণ করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

সোমবার (১ মার্চ) থেকে বন্দরের এই স্টোররেন্ট কার্যকর হয়েছে বলে জানিয়েছেন বন্দর পরিচালক (পরিবহন) এনামুল করিম।

এনামুল করিম বলেন, ‘রমজানকে কেন্দ্র করে আমদানি বাড়ছে। প্রতিনিয়ত পণ্য আসছে। কিন্তু আমদানিকারকরা বন্দরের ইয়ার্ডে পণ্যভর্তি কনটেইনার ফেলে রেখেছেন। তাই রমজানে পণ্য পরিবহন স্বাভাবিক রাখতে এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘দৈনিক ডেলিভারির ক্ষেত্রে ধীরগতির কারণে বন্দরের অভ্যন্তরে কনটেইনারের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। এ ঘটনায় বন্দরের স্বাভাবিক অপারেশন কার্যক্রম অব্যাহত রাখার জন্য স্টোররেন্ট দ্বিগুণ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।’

Advertisement

তিনি আরও বলেন, ল্যান্ডিং ডেটের ১১তম দিন থেকে দ্বিগুণ স্টোররেন্ট কার্যকর হবে। রেগুলেন্স ফর ওয়ার্কিং অব চিটাগাং পোর্ট (কার্গো অ্যান্ড কনটেইনার) ২০০১-এর ১৬০ ধারা অনুযায়ী এই স্টোররেন্ট আরোপ করা হয়। এখন থেকে কমন ল্যান্ডিং ডেটের পর ১১তম দিন থেকে প্রযোজ্য স্বাভাবিক ভাড়ার ওপর দ্বিগুণ হারে স্টোররেন্ট আরোপ করা হবে। এটি ১ মার্চ থেকে কার্যকর হয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা অভিযোগ করেন, জাহাজ থেকে প্রতিদিন যে পরিমাণ কনটেইনার নামছে, সেই গতিতে বন্দর থেকে ছাড় না নেয়ায় বন্দরে কনটেইনার জটের সৃষ্টি হয়েছে। এখন বন্দর দ্বিগুণ স্টোররেন্ট আরোপ করায় আমদানি পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেবেন ব্যবসায়ীরা।

আবু আজাদ/এআরএ/এএসএম

Advertisement