বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া বলেছেন, রোগীরা অসহায়। রোগীরা যেন অবহেলিত না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। রোগীদের আপন করে নিতে হবে, যাতে তাদের আস্থা অর্জন করা যায়। মনে রাখতে হবে, রোগীরা অবহেলিত হলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মা কষ্ট পাবে।
Advertisement
সোমবার (১ মার্চ) সকাল ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের এ ব্লকের অডিটোরিয়ামে ভর্তিকৃত রেসিডেন্সি প্রোগ্রামের শিক্ষার্থীদের বরণ ও পরিচিতি অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।
বিএসএমএমইউ উপাচার্য বলেন, সবচেয়ে বড় সম্পদ হলো জ্ঞান। এই জ্ঞান অর্জনের দিকে গুরুত্ব দিতে হবে। অর্জিত জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে জাতির জনকের নামে প্রতিষ্ঠিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়কে চিকিৎসাসেবা, চিকিৎসা শিক্ষা ও গবেষণায় বিশ্বমানে নিয়ে যেতে হবে।
উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. সাহানা আখতার রহমান বলেন, ভালো চিকিৎসক হতে হলে অবশ্যই ভালো মানুষ হতে হবে। নিজেকে দক্ষ চিকিৎসক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। একাগ্রতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করতে হবে। নিজেকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে উদার, নম্র, বিনয়ী ও মুক্ত চিন্তার আলোকিত মানুষ হিসেবে তৈরি করতে হবে।
Advertisement
ইনডাকশন প্রোগ্রামে উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ রফিকুল আলম, উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. জাহিদ হোসেন, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, সার্জারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মো. জুলফিকার রহমান খান, বেসিক সায়েন্স ও প্যারা ক্লিনিক্যাল সায়েন্স অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মানজারের শামীম, মেডিসিন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. এ কে এম মোশাররফ হোসেন, শিশু অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. চৌধুরী ইয়াকুব জামাল, নার্সিং অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মনিরুজ্জামান খান, ডেন্টাল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মো. গাজী শামীম হাসান, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোজাফফর আহমেদসহ বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান ও ছাত্রছাত্রীরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল হান্নান।
এছাড়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছিলেন সার্জারি অনুষদের ৪৬১ জন, বেসিক সায়েন্স ও প্যারা ক্লিনিক্যাল সায়েন্স অনুষদে ১০৫, মেডিসিন অনুষদে ৩৬৮, ডেন্টাল অনুষদে ৫০ এবং শিশু অনুষদে ১১৩ জন শিক্ষার্থী।
এমইউ/জেডএইচ/এমকেএইচ
Advertisement