দেশীয় স্যানিটারি ওয়্যার উৎপাদন পর্যায়ে সরকারের ধার্য করা ১০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক সম্পূর্ণ প্রত্যাহার চেয়েছে বাংলাদেশ সিরামিক ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিসিএমইএ)।
Advertisement
সোমবার (১ মার্চ) সেগুনবাগিচায় জাতীয় রাজস্ব ভবনে প্রাক-বাজেট আলোচনায় এ দাবি জানায় সংগঠনটি।
সংগঠনের প্রতিনিধিরা বলেন, গত বছর থেকে স্যানিটারি ওয়্যার উৎপাদনে ১০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা হয়। ২০১২ সালে যেটা ১৫ শতাংশ ছিল। আমরা অনেক লেখালেখি করেছি। পরে সেটা জিরো করা হয়। তবে গত বছর থেকে ফের ১০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা হলে সেটার প্রভাব ভোক্তা পর্যায়ে পড়ছে।
সম্পূরক শুল্ক বাড়ার ফলে স্যানিটারি ওয়্যারের মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে জানিয়ে সংগঠনটি জানায়, স্যানিটারি প্যানসহ বেশিরভাগ পণ্য গ্রামে চলে। তবে দাম বেড়ে যাওয়ায় তারা এখন দেশীয় স্যানিটারি ওয়্যার কিনছেন না। এক্ষেত্রে স্যানিটারি ওয়্যারের ওপর সম্পূরক শুল্ক আগের মত জিরো করার আহ্বান তাদের। একই সঙ্গে দেশি টাইলস উৎপাদন পর্যায়ে আরোপিত ১৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক পুরোটাই প্রত্যাহার করার আহ্বান জানিয়েছে তারা।
Advertisement
বিসিএমইএ প্রেসিডেন্ট সিরাজুল ইসলাম মোল্লা বলেন, এক সময়ের সিরামিক শিল্প ছিল পুরোটাই আমদানিনির্ভর। তবে বর্তমানে ৮০-৯০ শতাংশ সিরামিক পণ্য দেশেই তৈরি হয়।
দেশে সিরামিক পণ্যের কাঁচামালের আমদানি শুল্ক ৫ শতাংশে নামিয়ে আনার প্রস্তাব দিয়ে তিনি বলেন, প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগে দেশে প্রায় ৬৮টি সিরামিক শিল্প কারখানা আছে, যা দেশের সিরামিক চাহিদার প্রায় ৯০ শতাংশ চাহিদা পূরণ করছে। এর মাধ্যমে খাতটি বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় করছে।
সিরাজুল ইসলাম আরও বলেন, বর্তমানে এই শিল্পের প্রায় ৯০ শতাংশ কাঁচামাল আমদানিনির্ভর। এই আমদানি পণ্যের ওপর অতিরিক্ত আমদানি শুল্ক আরোপ করা হচ্ছে। এর ফলে আমরা বিদেশি প্রতিযোগীদের সঙ্গে পেরে উঠছি না। এ খাতে আমদানি শুল্ক ৫ শতাংশে নামিয়ে আনার অনুরোধ জানাচ্ছে বিসিএমইএ। এই শুল্ক উঠিয়ে নিলে মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে পণ্য আমদানি বন্ধ হবে বলে মনে করেন এই ব্যবসায়ী নেতা।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলেন, দেশীয় শিল্পের বিকাশ ও স্বার্থ রক্ষা করা এনবিআর-এর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। দেশীয় শিল্পের রক্ষার্থে কি ধরনের পদক্ষেপ নেয়া যেতে পারে বা বাজেটে কি সংযুক্ত করা যেতে পারে তা নিয়ে আলোচনা করতে আপনাদের সঙ্গে বৈঠক করছি।
Advertisement
এসএম/এআরএ/জিকেএস