বছর দুই আগে তুরস্কে নিজ দেশের দূতাবাসে গিয়ে নিখোঁজ হন আলোচিত সাংবাদিক জামাল খাশোগি। পুলিশের ধারণা ৫৯ বছর বয়সী সাংবাদিক খাশোগিকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে।
Advertisement
পরবর্তীতে সেই হত্যাকান্ড নিয়ে নানা অজানা তথ্য বেরিয়ে আসে অস্কারজয়ী পরিচালক ব্রায়ান ফোগেলের ডকুমেন্টারি ‘দ্য ডিসিডেন্ট’ থেকে।
১১৯ মিনিটের সেই ডকুমেন্টারিতে খুব সহজেই অপরাধের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয় সৌদির যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানকে। সম্প্রতি ডকুটির পরিচালক ফোগেল মনে করছেন, তথ্য উপাত্ত সবকিছু থাকলেও কোনো এক দৃশ্য কারণেই হয়তোবা বিচারের আওতায় নিয়ে আসা হচ্ছে না এই সৌদি যুবরাজকে।
এই ডকু ফিল্মটি প্রচারের ব্যাপারে হতাশা প্রকাশ করেছেন নির্মাতা ফোগেল। তিনি জানান, ‘দুনিয়ার অন্যতম ধনী ব্যক্তি জেফ বেজোস যে কিনা ওয়াশিংটন পোস্টেরও মালিক। যেখানে খাশোগি কর্মরত ছিলেন। কিন্তু কি অবাক কাণ্ড বেজোসের স্ট্রিমিং সাইট আমাজন প্রাইমও ডকুটি সম্প্রচারে রাজি হয়নি।
Advertisement
পৃথিবীর কোটি মানুষের আশা থাকলেও স্ট্রিমিং জায়ান্ট নেটফ্লিক্সও আমাদের হতাশ করেছে। অর্থের কাছে তারা নত হয়েছে সত্য প্রকাশে।’
খাশোগির হত্যা তদন্ত নিয়ে নির্মিত ডকুটি নিয়ে তিনি গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে জানান, ‘আমি বিশ্বাস করি না যে সৌদি যুবরাজ কখনো নিজের ব্যক্তিগত প্রাইভেট জেট থেকে ইন্টারপোল গ্রেপ্তারের পরোয়ানা মোকাবেলা করবেন। তা তিনি যেই দেশেই যান না কেন। এমন পরিবেশ আসলে আমাদের নিজেদেরই সৃষ্টি।
মোহাম্মদ বিন সালমানের মতো নেতারা মানবাধিকারের সাথে সাংঘর্ষিক এমন অনেক কিছুই অর্থ দিয়ে নিজেদের করে রেখেছেন। এই পৃথিবীতে তাদের যেন কোনো জবাবদিহিতা নেই।’
পুরো পৃথিবীর সঙ্গে নিজ দেশের কথা বলতে গিয়ে ফোগেল জানান, ‘বাইডেন প্রশাসনকে যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবের মধ্যে সম্পর্কের পুনর্মূল্যায়নকে স্বাগত জানাই। আমাদের পূর্ববর্তী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সৌদি প্রীতির কথা তো সবার জানা। আমরা কখনোই চাই না বাইডেন কূটনৈতিকভাবে ট্রাম্পের দেখানো পথে হাঁটুন।’
Advertisement
প্রসঙ্গত, ডকুটি ২০২০ সালের ২৪ জানুয়ারি সুনডেন্স ফিল্ম ফেস্টিভালে প্রথমবারের মতো প্রচারিত হয়। পরিচালক ফোগেলের আগে রাশিয়ান অ্যাথলেটদের ডোপিংয়ে কেলেঙ্কারি নিয়ে তদন্তকারী চলচ্চিত্র ‘ইকারাস’ বানিয়ে অস্কার জয় করেন।
এলএ/এমএস