আইন-আদালত

৪৮ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের টাইম স্কেল ফেরতের রিট খারিজ

২০১৩-২০১৪ সালে বেসরকারি থেকে সরকারি হওয়া (জাতীয়করণকৃত) সারাদেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪৮ হাজার ৭২০ জন শিক্ষকের টাইম স্কেল সুবিধা ফেরত দেয়ার বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারি করা পরিপত্র নিয়ে হাইকোর্টের রুল খারিজ করে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট।

Advertisement

এর ফলে বেসরকারি থেকে সরকারি (২০১৩-২০১৪ সালে) হওয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের ‘টাইম স্কেল’ সুবিধা ফেরত দেয়ার বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের পরিপত্রের বৈধতা পেয়েছে।

এ সংক্রান্ত পরিপত্রের বৈধতা নিয়ে করা রিট (রুট ডিসচার্জ) খারিজ করে রোববার (২৮ ফেব্রুয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রায় দেন।

আদালতে আজ রিটের পক্ষে আইনজীবী মোকছেদুল ইসলাম শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।

Advertisement

২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৩-২০১৪ সালে জাতীয়করণকৃত প্রাথমিক শিক্ষকদের টাইম স্কেলের সুবিধা ফেরত দেয়ার বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারি করা পরিপত্র নিয়ে দায়ের করা রিটের শুনানিতে জারি করা রুল শুনানি শেষ হয়। পরে এ বিষয়ে রায় ঘোষণার জন্য আজ রোববার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দিন ধার্য করেন হাইকোর্ট।

এর আগে গত ১৩ জানুয়ারি সারাদেশের ৪৮ হাজার ৭২০ জন শিক্ষকের টাইম স্কেল সংক্রান্ত অর্থ মন্ত্রণালয়ের চিঠির বিষয়ে দায়ের করা রিট মামলা তিন সপ্তাহের মধ্যে নিষ্পত্তি করার জন্য হাইকোর্টকে নির্দেশ দিয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। তারই ধারাবাহিকতায় এই রুলের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।

জাতীয়করণকৃত ৪৮ হাজার ৭২০ জন শিক্ষককে টাইম স্কেলের এ সুবিধার দাবিতে রিট আবেদনকারীদের তথ্যমতে, পরিপত্র ও গেজেটের ভিত্তিতে জাতীয়করণ করা শিক্ষকেরা ২০১৩ সাল থেকে ওই টাইম স্কেলের আর্থিক সুবিধাদি ভোগ করে আসছিলেন।

এ বিষয়ে ব্যারিস্টার মোকছেদুল ইসলাম বলেন, গত বছরের ১২ আগস্ট বেসরকারি থেকে সরকারি হওয়া প্রাথমিক শিক্ষকদের টাইম স্কেল সুবিধা ফেরত দেয়ার বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয় একটি পরিপত্র জারি করে। এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে সংক্ষুব্ধ শিক্ষকরা রিট করেন। তখন হাইকোর্ট বিভাগ পরিপত্র স্থগিত করে রুল জারি করেন।

Advertisement

এর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করে। ১৩ সেপ্টেম্বর চেম্বার জজ আদালত হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেন। পরে স্থগিতাদেশ তুলে দিতে শিক্ষকরা আপিল বিভাগে আবেদন করেন। এরপর গত ১৩ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ তিন সপ্তাহের মধ্যে হাইকোর্ট বিভাগে রিট মামলাটি নিষ্পত্তি করতে বলেন।

সে অনুসারে গত বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) উক্ত বেঞ্চে এ রুলের ওপর শুনানি শেষ হয়। হাইকোর্ট এ বিষয়ে রায়ের জন্য রোববার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দিন ধার্য করেন।

এফএই/এমএইচআর/এমএস/জেডএইচ/জিকেএস