দেশজুড়ে

শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে বিলুপ্ত ছিটবাসীদের

দীর্ঘদিনের বন্দিদশা থেকে মুক্ত পঞ্চগড়ের বিলুপ্ত ছিটমহলের বাসিন্দাদের মধ্যে জনগণনায় যারা ভারতীয় নাগরিক হওয়ার ট্রাভেল পাস পেয়েছেন তাদের মধ্যে ভারত যাওয়ার ক্ষণ গণনা শুরু হয়েছে। রোববার তারা নীলফামারীর ভোগডাবুড়ি ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশ করবেন। এজন্য শেষবারের মত দেখা করছেন আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশীদের সঙ্গে। চলছে মালপত্র গোছানোর কাজ।সরেজমিনে জেলার তিন উপজেলার বিলুপ্ত বিভিন্ন ছিটমহল ঘুরে জানা গেছে, পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার কাজলদীঘি কালিয়াগঞ্জ ইউনিয়নের বিলুপ্ত নাজিরগঞ্জ ছিটমহলের বাসিন্দা উপেন্দ্রনাথ রায় ভারতে চলে যাচ্ছেন। এজন্য তার বড় বোন শান্তি রানী কান্নায় ভেঙে পড়েন। নিকটাত্মীয় ও প্রতিবেশীদের সঙ্গে শেষবারের মত দেখা করতে এসে শান্তি রানীর মত অনেকেই কান্নায় ভেঙে পড়েন। রোববার প্রথম দফায় জেলার দেবীগঞ্জ, বোদা ও সদর উপজেলার বিলুপ্ত ছিটমহল গারাতি, বেলুয়াডাঙ্গা, নাটকটোকা, নাজিরগঞ্জের ১৫ পরিবাবের ৫৫ জন বাসিন্দা ভারত যাবেন। এজন্য সীমান্তে উভয় দেশের পক্ষ থেকে সব রকম প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। তবে ভিন দেশে গিয়ে তারা কেমন থাকবেন, কেমন হবে তাদের জীবন-যাপন এ নিয়ে শঙ্কিত ভারতগামী বিলুপ্ত ছিটমহলের বাসিন্দারা।উপেন্দ্রনাথ রায়ের বোন শান্তি রানী বলেন, আমরা চার ভাই এক বোন। আমি ছিটমহলের বাসিন্দা হলেও বাংলাদেশে বিয়ে হয়েছে। এজন্য যেতে পারছি না। আমার এক ভাই পরিবার নিয়ে ভারতে যাচ্ছেন। এজন্য খুব খারাপ লাগছে।ভারতগামী বোদা উপজেলার নাজিরগঞ্জের হাসি রানী বলেন, স্বামীর আত্মীয়-স্বজন ভারতে থাকায় মা বাবা ছেড়ে স্বামী ও সন্তান নিয়ে ভারতে চলে যাচ্ছি। জানি না সেখানে আমাদের কি অবস্থা হবে।সফিকুল আলম/এসএস/এমএস

Advertisement