হাইতির রাজধানী পোর্ট-আউ-প্রিন্সের কাছাকাছি একটি কারাগার থেকে চার শতাধিক বন্দি পালিয়ে গেছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বলছে, ক্রয়িক্স-দেস-বুকেটস কারাগার থেকে বন্দিরা পালিয়ে যাওয়ার সময় কারাগারের পরিচালকসহ ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। খবর বিবিসির।
Advertisement
এদিকে, কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরেই ক্ষমতাবান গ্যাং নেতা আর্নেল জোসেফ নিহত হয়েছেন। পুলিশের মুখপাত্র গেরি ডেসরোজিয়ার্স জানিয়েছেন, মৃত্যুর পর পায়ে বেড়ি পরা অবস্থায় তাকে পাওয়া গেছে। একটি মোটর সাইকেলে করে তিনি চেকপয়েন্ট দিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন।
তাকে বহনকারী মোটরসাইকেলটি থামানো যায়নি এবং জোসেফ এক পুলিশ কর্মকর্তার দিকে বন্দুক তাক করেন। সে সময় আত্মরক্ষার জন্য ওই পুলিশ কর্মকর্তা জোসেফকে গুলি করেন।
২০১৯ সালে গ্রেফতার হওয়ার আগ পর্যন্ত হাইতির মোস্ট ওয়ান্টেড গ্যাং নেতা হিসেবে পরিচিত ছিলেন জোসেফ। কিভাবে কারাগার থেকে শত শত বন্দি পালিয়ে গেল তা এখনও পরিষ্কার নয়।
Advertisement
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে তীব্র গোলাগুলির শব্দ শোনা যায় এবং এর পরপরই বন্দিরা পালাতে শুরু করে। কারাগারের কাছাকাছি থাকা এক স্টাফ জানান, কারাগার থেকে পালিয়ে আসা বন্দিরা জোর করে তাদের কাছ থেকে কাপড়-চোপড় নিয়ে গেছেন।
এএফপি নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, ক্রয়িক্স-দেস-বুকেটস কারাগারটি ২০১২ সালে চালু হয়। এই কারাগারে ৮৭২ জন বন্দিকে রাখা সম্ভব। কিন্তু সেখানে ধারণ ক্ষমতার বাইরে বন্দিদের রাখা হয়েছিল।
হাইতির যোগাযোগমন্ত্রী ফ্রান্জ এক্সানতাস শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, কারাগার থেকে পালানোর এই ঘটনার আগে সেখানে ১৫শ'র বেশি বন্দিকে রাখা হয়েছিল।
ছয় বন্দি এবং বিভাগীয় পরিদর্শক পল হেক্টর জোসেফসহ ২৫ জন নিহত হয়েছে বলে এখন পর্যন্ত নিশ্চিত হওয়া গেছে। নিহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজন সাধারণ মানুষ ছিলেন। বন্দিরা তাড়াহুড়া করে পালানোর সময় এসব মানুষ প্রাণ হারাণ।
Advertisement
হাইতিতে কারাগার থেকে পালানোর ঘটনা প্রায়ই ঘটে থাকে। এর আগে ২০১৯ সালে দেশটির একটি কারাগার থেকে ৭৮ জন বন্দির সবাই পালিয়ে যায়।
টিটিএন/এএসএম