সৌদি আরবের ভিন্ন মতাবলম্বী সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে হত্যার ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিববেদন প্রত্যাখ্যান করেছে সৌদি আরব। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এই প্রতিবেদনকে ‘নেতিবাচক, মিথ্যা এবং অগ্রহণযোগ্য’ মূল্যায়ন বলে উল্লেখ করেছে। খবর রয়টার্সের।
Advertisement
এর আগে শুক্রবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) খাশোগি হত্যা নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের ডিরেক্টর অব ন্যাশনাল ইনটেলিজেন্সের দফতর। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে হত্যা বা আটক করার জন্য পরিচালিত অভিযানে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান অনুমোদন দিয়েছিলেন। যদিও এর আগে খাশোগি হত্যায় যুক্তরাষ্ট্র কারো সংশ্লিষ্টতার কথা বললেও তিনি যে সৌদি যুবরাজ তা উল্লেখ করেনি।
ওই প্রতিবেদন প্রকাশের পর আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দিয়ে তা প্রত্যাখ্যান করেছে সৌদি আরব। সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিবৃতিতে জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেদনকে সৌদি সরকার সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাখ্যান করছে। ওই প্রতিবেদনের তথ্য মিথ্যা এবং অনুমাননির্ভর বলেও উল্লেখ করেছে সৌদি সরকার।
বিবৃতিতে জানানো হয়, একদল লোক ওই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে এবং তাতে সমস্ত প্রাসঙ্গিক বিধি ভঙ্গ হয়েছে। এ ধরনের ঘটনার যেন আর পুনরাবৃত্তি না ঘটে তা নিশ্চিত করতে সৌদি সরকার সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
Advertisement
এতে আরও বলা হয়, সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এটি নিশ্চিত করছে যে সৌদি আরব এবং যুক্তরাষ্ট্রের যে অংশীদারিত্ব তা অত্যন্ত দৃঢ় এবং স্থায়ী।
২০১৮ সালের অক্টোবরে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে অবস্থিত সৌদি কনস্যুলেটে সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে হত্যা করা হয়। সৌদির একটি কিলিং স্কোয়াড যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের নির্দেশে ওই হত্যাকাণ্ড ঘটায় বলে অভিযোগ ওঠে।
কিন্তু প্রথম থেকেই ওই হত্যাকাণ্ডের কথা অস্বীকার করে আসছিল সৌদি আরব। পরে অবশ্য স্বীকার করতে বাধ্য হয়। এ ঘটনার পর এই প্রথম খাশোগি হত্যার নির্দেশদাতা হিসেবে সৌদি যুবরাজের নাম প্রকাশ করলো যুক্তরাষ্ট্র।
খাশোগি হত্যার ঘটনায় ৮ জন দোষী সাব্যস্ত হন। তাদের মধ্যে পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ড দেয় সৌদির একটি আদালত। তবে খাশোগির পরিবার হত্যাকারীদের ক্ষমা করে দিলে গত বছর তাদের সাজা কমিয়ে ৭ থেকে ২০ বছর মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়।
Advertisement
ইএ/এমএস