অসীম বিকাশ বড়ুয়া, দক্ষিণ কোরিয়া থেকে
Advertisement
বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো দক্ষিণ কোরিয়াতেও করোনাভাইরাসের টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়েছে। শুক্রবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) উত্তর সিউলের নওন জেলার ৬১ বছর বয়সী স্বাস্থ্যকর্মী লি গিয়ং চুন প্রথম টিকা নেন।
দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রথমদিকে টিকা প্রয়োগে আক্রান্তদের বাইরে চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী ও পুলিশসহ অন্যান্য পেশাজীবীদের অগ্রাধিকার দেয়া হবে। এর আগে কোরিয়া স্বাস্থ্য অধিদফতর ঘোষণা করে, পাঁচ হাজারেরও বেশি নার্সিং হোমের বাসিন্দা এবং ৬৫ বছরের কম বয়সী শ্রমিকরা এই টিকা গ্রহণ করবেন।
দেশটির সরকার বলছে, অপ্রতুল ক্লিনিক্যাল তথ্যের কারণে ৬৫ বছরের বেশি বয়সীদের অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দেয়া হবে না এবং অতিরিক্ত তথ্য পর্যালোচনা করে আগামী মার্চ মাসের দিকে প্রবীণদের অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার আওতায় অন্তর্ভুক্ত করতে পারে।
Advertisement
দক্ষিণ কোরিয়ায় করোনার টিকা প্রথমে ২ লাখ ৭২ হাজার রোগী এবং স্বাস্থ্য কর্মীকে দেয়া হবে। আর মার্চের মধ্যে প্রায় সাড়ে ৭ লাখ মানুষকে টিকা দেয়ার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে দেশটির সরকার।
দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত মুনজে-ইন সিউলের ম্যাপো জেলার একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পরিদর্শনকালে সবাইকে দ্রুত ও নিরাপদে টিকা দেয়ার আহ্বান জানান।
দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা পার্ক জং বলেন, সরকার টিকা প্রদান কার্যক্রমকে সফল করার জন্য আগামী নভেম্বরের মধ্যে ৯০ শতাংশ মানুষকে টিকা দেয়ার লক্ষ্যে দশ হাজার স্বাস্থ্যকেন্দ্র করার পরিকল্পনা হাতে নিয়ে কাজ শুরু করেছে।
এদিকে টিকা নেয়ার পর সবাইকে ৩০ মিনিট স্বাস্থ্যকেন্দ্রে থাকতে বলা হয়েছে এবং পর্যবেক্ষণের পরে ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার প্রতি নজর রাখার পরামর্শ দিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া স্বাস্থ্য অধিদফতর।
Advertisement
মোট চারটি কোম্পানি থেকে দক্ষিণ কোরিয়ার ৫৬ মিলিয়ন নাগরিক এবং সকল অভিবাসীর জন্য ধাপে ধাপে করোনার টিকা আসবে। প্রথম অ্যাস্ট্রাজেনেকা, দ্বিতীয় রাউন্ডে জনসন ও মডার্না এবং তৃতীয় ধাপে আসবে বায়োটেকের টিকা।
এমএসএইচ