ফাইজার ও বায়োএনটেক বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, করোনাভাইরাসের নতুন ধরণের বিরুদ্ধে কার্যকারিতা বুঝতে তারা ভ্যাকসিনের তৃতীয় ডোজ নিয়ে পরীক্ষা করছে। খবর রয়টার্সের।
Advertisement
কোম্পানি দুটো জানায়, তারা সংশোধিত ভ্যাকসিনের ব্যাপারে নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর সঙ্গেও কথা বলছে। দক্ষিণ আফ্রিকায় পাওয়া করোনাভাইরাসের অধিক সংক্রামক বি.১.৩৫১ নামের স্ট্রেইনসহ অন্যান্য নতুন স্ট্রেইন প্রতিরোধের জন্য তারা এ উদ্যোগ নিয়েছে।
ফাইজার ও বায়োএনটেকের ধারণা, তাদের দুই ডোজের ভ্যাকসিন দক্ষিণ আফ্রিকা, যুক্তরাজ্য ও অন্যান্য স্থানে পাওয়া ভাইরাসের নতুন ধরণের বিরুদ্ধে কার্যকর হবে। কিন্তু নতুন এই গবেষণার মাধ্যমে তারা বুঝতে পারবে আরও সুরক্ষার প্রয়োজন আছে কিনা। যদি আরও সুরক্ষার দরকার হয় সেক্ষেত্রে কখন তা দরকার হবে সেটিও বোঝা যাবে এই পরীক্ষায়।
ফাইজারের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মাইকেল ডোলস্টেন এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘বর্তমান ভাইরাসের মিউটেশনের হার যা ভাবা হচ্ছিল তার চেয়ে বেশি।’
Advertisement
তিনি বলেন, ‘চলমান ডোজই যথেষ্ট এমনটাই হয়তো শেষে দেখা যাবে। তবে ভাইরাসের সম্ভাব্য স্ট্রেইনের জন্য হয়তো কয়েক বছর পরপরই ভ্যাকসিন পরিবর্তন করতে হবে, তবে প্রতিবছর তা করতে হবে না।’
৬ থেকে ১২ মাস আগে ফাইজারের ভ্যাকসিনের প্রথম ট্রায়ালে যারা অংশ নিয়েছিলেন, তাদের মধ্যে ১৪৪ ব্যক্তিকে নতুন ডিজাইন করা ভ্যাকসিনের ৩০ মাইক্রোগ্রাম ডোজ দেয়া হবে।
ডোলস্টেন জানান, এই ট্রায়ালে আগে যারা ভ্যাকসিন নিয়েছেন এবং যারা নেননি, উভয়ের ওপরেই নতুন ডিজাইনকৃত ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হবে। ডোলস্টেন বলেন, ফাইজার-বায়োএনটেকের মতো এমআরএনএ ভ্যাকসিনগুলো করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করতে সক্ষম। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ভাইরাসের মিউটেশনের কারণে ভ্যাকসিনের ক্ষমতা কমে যেতে পারে।
তিনি মনে করেন, তাদের ভ্যাকসিনের তৃতীয় ডোজ করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ডোজের মতো অথবা আরও বেশি কার্যকর হবে।
Advertisement
নতুন এই ট্রায়াল প্রধানত যুক্তরাষ্ট্রেই পরিচালনা করা হবে বলে জানান ডোলস্টেন।
এমকে/জিকেএস