জনসন অ্যান্ড জনসনের এক ডোজের করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন নিরাপদ ও কার্যকর বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন (এফডিএ)। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের তৃতীয় করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন হিসেবে জনসনের ভ্যাকসিন অনুমোদন পেতে পারে। খবর বিবিসির।
Advertisement
জনসন অ্যান্ড জনসনের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান জ্যানসেন এফডিএর কাছে ভ্যাকসিন সংক্রান্ত যে তথ্য জমা দিয়েছিল তা এফডিএ আরও বিস্তারিতভাবে প্রকাশ করেছে। তথ্য বিশ্লেষণ করে এফডিএ এই উপসংহারে আসে যে, লক্ষণগত ও গুরুতর অসুস্থতা প্রশমনে জনসনের ভ্যাকসিনের ‘জ্ঞাত উপকারিতা’ রয়েছে।
এই ভ্যাকসিনের ট্রায়াল দেয়া হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ব্রাজিলে। ট্রায়ালের ফলাফলে দেখা যায়, ভাইরাসের সবচেয়ে গুরুতর অবস্থার বিরুদ্ধে ভ্যাকসিনের উচ্চ কার্যকারিতা রয়েছে। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকা ও ব্রাজিলে ভাইরাসের বিরুদ্ধে জনসনের ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা কিছুটা নিম্ন। উল্লেখ্য, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ব্রাজিলে করোনাভাইরাসের নতুন ধরণ অনেক বেশি ছড়িয়েছে।
তথ্যে দেখা যায়, গুরুতর অসুস্থতার বিরুদ্ধে জনসন অ্যান্ড জনসনের ভ্যাকসিন ৮৫ শতাংশ কার্যকর। কিন্তু মৃদু অসুস্থতার বিরুদ্ধে কার্যকর ৬৬ শতাংশ। ভ্যাকসিন গ্রহণের অন্তত ২৮ দিন পরে অংশগ্রহণকারীর অবস্থা পর্যালোচনা করে এই ফলাফল পাওয়া গেছে।
Advertisement
ভ্যাকসিন নেয়ার পরে ট্রায়ালে অংশ নেয়া কেউ করোনার কারণে হাসপাতালে ভর্তি হয়নি এবং মারাও যায়নি।
শুক্রবার বিশেষজ্ঞদের একটি কমিটি বৈঠকে বসবে এবং জনসনের ভ্যাকসিন এফডিএ’র অনুমোদন পাওয়া উচিত কিনা সে ব্যাপারে মতামত জানাবে।
হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, জরুরি ব্যবহারের জন্য ভ্যাকসিনটি এফডিএ’র অনুমোদন পেলে পরের সপ্তাহের মধ্যেই ৩০ লাখ ডোজ বিতরণের প্রত্যাশা করছেন কর্মকর্তারা।
জনসন অ্যান্ড জনসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মার্চের শেষ নাগাদ যুক্তরাষ্ট্রে ২ কোটি ডোজ এবং জুনের শেষ নাগাদ সর্বমোট ১০ কোটি ডোজ সরবরাহের পরিকল্পনা তাদের রয়েছে। যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও কানাডা থেকেও তারা ভ্যাকসিনের জন্য অর্ডার পেয়েছেন। এছাড়া বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আওতায় কোভ্যাক্স প্রকল্পের জন্য ৫০ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন সরবরাহের অর্ডার পেয়েছে কোম্পানিটি।
Advertisement
এমকে/জিকেএস