সম্প্রতি সৌদির ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের অ্যাপেন্ডিসাইটিসের অপারেশন হয়েছে। অপারেশনের পর তিনি কেমন আছেন তা নিয়ে অনেকের মধ্যেই উদ্বেগ দেখা দিয়েছিল। কিন্তু বুধবার দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, তার অপারেশন সফল হয়েছে এবং তিনি এখন ভালো আছেন। খবর এএফপির।
Advertisement
সৌদি প্রেস এজেন্সির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুধবার সকালে ৩৫ বছর বয়সী ক্রাউন প্রিন্সের অ্যাপেন্ডিসাইটিসের ল্যাপারোসকপিক সার্জারি সফল হয়েছে। কিং ফয়সাল স্পেশালিস্ট হাসপাতালে তার অপারেশন হয়েছে বলে জানানো হয়।
এসপিএর এক টুইট বার্তায় প্রিন্স সালমানের একটি ছবি প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে দেখা গেছে, প্রিন্স সালমান হেঁটে হেঁটে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে যাচ্ছেন এবং একটি গাড়িতে উঠে সামনের সিটে বসছেন।
সাম্প্রতিক সময়ে মোহাম্মদ বিন সালমানের হাত ধরেই সৌদি আরবে নানা ধরনের সংস্কার হচ্ছে। একের পর এক বিধি-নিষেধ তুলে দিয়ে সৌদির সমাজ ব্যবস্থায় পরিবর্তনের ছোঁয়া এনেছেন তিনি। দেশটিতে মেয়েরা এখন গাড়ি চালাতে পারছে, বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রে পুরুষদের পাশাপাশি অংশ নিতে পারছে এমনকি মাঠে বসে বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলাও উপভোগ করতে পারছে।
Advertisement
তবে দেশজুড়ে গত কয়েক বছর ধরে অভিযানের নামে রাজপরিবারের সমালোচনা, সমাজকর্মী এবং রাজপরিবারে নিজের প্রতিদ্বন্দ্বী অন্যান্য যুবরাজ এবং শার্ষ স্থানীয় কর্মকর্তাদের হেনস্তার করার ঘটনায় প্রিন্স সালমানের বেশ সমালোচনাও হয়েছে।
২০১৮ সালের অক্টোবরে সৌদির ভিন্ন মতাবলম্বী সাংবাদিক জামাল খাসোগিকে তার নির্দেশেই হত্যা করা হয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতাদের সঙ্গে বাদশাহ সালমানের চেয়ে ক্রাউন প্রিন্সের সখ্যতাই বেশি চোখে পড়ে। বিশেষ করে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কথা কারও অজানা নয়। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আসার পর পরিস্থিতি হয়তো কিছুটা বদলাবে।
ট্রাম্পকে অনুসরণ না করে নিজের অবস্থান ধরে রেখেছেন বাইডেন। ক্ষমতা গ্রহণের পর তিনি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। এরই অংশ হিসেবে তিনি ক্রাউন প্রিন্সকে নয় বরং সৌদি বাদশাহ সালমানকেই প্রথম ফোন করবেন বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস।
Advertisement
টিটিএন/এএসএম