মানুষকে দুনিয়ায় কর্মের স্বাধীনতা দিয়েছেন মহান আল্লাহ। ভালো ও মন্দ কাজের পুরস্কার ও পরিণামের সুস্পষ্ট ঘোষণাও দিয়েছেন কুরআনে। অবশেষে পরকালে ভালো ও মন্দের বিচার ফয়সালা অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু বিচার দিবসে ৩ শ্রেণির ব্যক্তির অন্যায়ের জন্য তিনি নিজে প্রতিবাদী হবেন। সেই তিন শ্রেণির ব্যক্তির অপরাধগুলো কী?
Advertisement
‘হ্যাঁ’, আল্লাহ তআলা কেয়ামতের ময়দানে তিন ব্যক্তির ব্যাপারে প্রতিবাদী হবেন। হাদিসে কুদসিতে প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাদের বর্ণনা তুলে ধরেছেন এভাবে-হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ মর্মে ঘোষণা করেছেন যে, মহান আল্লাহ বলেছেন- ‘তিন ধরনের লোক এমন আছে, কেয়ামতের দিন আমি স্বয়ং যাদের ব্যাপারে প্রতিবাদী হবো। তারা হলো-> সে ব্যক্তি; যে আমার নামে অঙ্গীকার করার পর তা ভঙ্গ করল।> সে ব্যক্তি; যে স্বাধীন মানুষকে (প্রতারণা দিয়ে) বিক্রি করে তার মূল্য ভোগ করল।> সে ব্যক্তি; যে কোনো মজুরকে খাটিয়ে তার কাছ থেকে পুরোপুরি কাজ আদায় করে নিল কিন্তু তার মজুরী বা পারিশ্রমিক দিল না।’ (বুখারি, মুসনাদে আহামদ, ইবনে মাজাহ)
পরকালে কোনো ব্যক্তির ব্যাপারে আল্লাহর প্রতিবাদ করার বিষয়টি মারাত্মক ভয়াবহ ব্যাপার। যে কারণে এ তিন ধরনের অপরাধ থেকে বেঁচে থাকা কিংবা এ তিন শ্রেণির তালিকা থেকে নিজেদের দূরে রাখা খুবই জরুরি। ধর্ম-বর্ণ-জাতি নির্বিশেষে সামাজিক দৃষ্টিকোন থেকেও এসব কাজ মারাত্মক ঘৃণিত অপরাধ।
সুতরাং প্রতিটি মানুষের উচিত, আল্লাহর নামে অঙ্গীকার বা শপথ করে তা ভঙ্গ করা থেকে বিরত থাকা। মানুষের সঙ্গে যে কোনো ধরনের প্রতারণা থেকে বিরত থাকা এবং শ্রমিকের যথাযথ মূল্য বা পারিশ্রমিক কাজের সঙ্গে সঙ্গে দিয়ে দেয়া। তবেই পরকালের আল্লাহ তাআলার এ কঠিন অবস্থান থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
Advertisement
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে প্রতিজ্ঞা রক্ষা করার, প্রতারণা থেকে মুক্ত থাকার এবং শ্রমিকের ন্যায্য পাওনা যথাযথভাবে আদায় করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/এএসএম