মুক্তিযুদ্ধে গণহত্যার পর এদেশের ইতিহাসে অন্যতম ভয়ঙ্কর ঘটনা ছিল ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারির নারকীয় হত্যাযজ্ঞ। ১১ বছর আগের সেদিন পিলখানার বিডিআর সদর দপ্তরের নিরাপদ চত্বরে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছিল সেনাবাহিনীর ৫৭ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং আরো অনেক নিরীহ ব্যক্তিকে।
Advertisement
সব মিলে ৭৪ জন প্রাণ হারিয়েছিলেন। কেবল নির্মম হত্যা নয়, সেই কালো দিনে মৃতদেহগুলো নর্দমায় নিক্ষেপ করা হয়েছিল; লাশ গুম করে মাটি চাপা দেয়া হয়েছিল। পিলখানার সেই নিষ্ঠুরতা যে বেদনা ও ক্ষোভের জন্ম দিয়েছিল তা আজো দীর্ঘ নিঃশ্বাসে বাতাস ভারী করে চলেছে। বৃদ্ধ মা-বাবা তার সন্তান হারিয়েছেন, স্ত্রী প্রিয়তম স্বামীকে, সন্তান তাদের প্রাণের বাবাকে সেদিনের পরে আর খুঁজে পায়নি। স্বজন হারানো মানুষের কান্নার রোল আজও থামেনি।
তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের আন্তরিক প্রচেষ্টার কারণে ২০২০ সালের ৭ জানুয়ারি পিলখানা হত্যাযজ্ঞের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়েছে।হাইকোর্ট-এর ২৯ হাজার পৃষ্ঠার বেশি বিশদ রায় বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক আসামির ফাঁসির আদেশ সংবলিত পূর্ণাঙ্গ রায়।উল্লেখ্য, হত্যা মামলায় বিচার শেষে ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর নিম্ন আদালত রায় দেন। সে সময় আদালত এ মামলায় ১৫২ জনকে মৃত্যুদণ্ড, ১৬০ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ২৫৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও ২৭৮ জনকে বেকসুর খালাস দেন। ২০১৭ সালের ২৭ নভেম্বর হাইকোর্ট রায় দেন। রায়ে ১৩৯ জনকে ফাঁসি, ১৮৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ২০০ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত বলেছেন, ‘সামরিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা ধ্বংস করার মোটিভ নিয়ে এই বিদ্রোহের ঘটনা ঘটানো হয়েছিল। বহির্বিশ্বের কাছে আমাদের দেশকে ছোট করা, বিদেশি বিনিয়োগ না আসার জন্য কলকাঠি নাড়া হয়েছে।’
মনে রাখা দরকার, শেখ হাসিনা পিলখানা হত্যাযজ্ঞ পরিস্থিতি সেদিন দক্ষতার সঙ্গে মোকাবেলা করেছিলেন। অপরাধীদের বিচারকার্য সম্পন্ন করে দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীকে সম্মানিত করেছেন তিনি। ২০০৯ সালে মহাজোট সরকারের নেতৃত্বে গণতন্ত্র নতুন করে বিকশিত হওয়ার সময় চক্রান্তকারীদের পিলখানা হত্যাযজ্ঞ দেশের ইতিহাসে নিঃসন্দেহে মর্মন্তুদ ঘটনা। ক্ষমতা গ্রহণের মাত্র ৪৭ দিনের মাথায় এই বর্বরোচিত ঘটনা কিসের আলামত ছিল? সেনাবাহিনীর ৫৭ কর্মকর্তা হত্যার শিকার হবার পরেও গোটা ফোর্স ধৈর্য ধারণ করেছিল; ন্যায়বিচারের অপেক্ষা করে। বর্তমান সরকারের প্রতি সেনাবাহিনীর এর চেয়ে বড় অবদান আর কি হতে পারে? মহাজোটের সেই আমলেই দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী অভ্যুত্থান প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়ে আরো একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিল।
Advertisement
এসব কেবল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আস্থা থেকেই সম্ভব হয়েছিল। ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০০৯-এ বিডিআরদের উদ্দেশ্যে তাঁকে বলতে শোনা যায়- ‘আপনারা জানেন, গতকাল (২৫ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার পিলখানায় বিডিআর সদর দপ্তরে যে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে তার জন্য আমি অত্যন্ত মর্মাহত। আত্মঘাতী এই হানাহানিতে জীবন দিতে হয় আমাদের দেশপ্রেমিক সশস্ত্র বাহিনীর কয়েকজন কর্মকর্তা, বিডিআর সদস্য ও বেসামরিক নাগরিকদের। এ প্রাণহানির ঘটনায় আমি দারুণভাবে মর্মাহত এবং দুঃখিত। আমি নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। তাদের পরিবারের প্রতি সহমর্মিতা জানাই। আমার প্রশ্ন, কার বুকে গুলি চালাবেন? তারা তো আপনারই ভাই। ভাই হয়ে ভাইয়ের বুকে গুলি করবেন না। আপনার বোনকে বিধবা করবেন না। আমরা আপনাদের সমস্যা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। অত্যন্ত ধৈর্য সহকারে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা আমরা করে যাচ্ছি। আপনারা আমাকে সাহায্য করুন। এমন পথ নেবেন না যে ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যায়। আমাকে দেশের স্বার্থে কঠোর ব্যবস্থা নিতে বাধ্য করবেন না। মনে রাখবেন, সংঘাত আরো সংঘাত বাড়ায়। আপনারা সংযত হোন। অস্ত্র সমর্পণ করুন। আপনাদের কোনো ক্ষতি হবে না, আমি আশ্বস্ত করছি।’
প্রধানমন্ত্রীর সেদিনের পুরো ভাষণ জুড়ে ছড়িয়ে আছে নিহতদের জন্য শোক আর তাদের স্বজনদের জন্য কাতরতা। ভাষণটির শেষাংশে তিনি বিডিআর হানাদারদের কঠোর ভাষায় হুঁশিয়ারি করেছেন যেমন, তেমনি বারবার সেনা পরিবারের ক্ষতির কথা স্মরণ করেছেন। এর চেয়ে মানবিক দলিল আর কি হতে পারে? ২৫ ফেব্রুয়ারি সকালে পিলখানার তাণ্ডবের খবর পেয়ে তিনি সংকট সমাধানে নিজেই উদ্যোগ গ্রহণ করেন। মন্ত্রিসভার সদস্য, নিজের দল ও মহাজোটের নেতৃবৃন্দ, তিন বাহিনী প্রধান, পুলিশের আইজি, র্যাবের ডিজিসহ আরো অনেকের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেছেন।
সকলের পরামর্শের ভিত্তিতেই তৎকালীন প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক ও হুইপ মির্জা আজমকে পিলখানায় প্রেরণ করা হয়। তাঁরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নেত্রীর নির্দেশে সংকট নিরসনে প্রচেষ্টা চালান। তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুনসহ আওয়ামী লীগ ও মহাজোটের বেশ কয়েকজন নেতা বর্বর বিডিআর জওয়ানদের ভয়ে ভীত না হয়ে পিলখানায় ঢুকে জিম্মিদশা থেকে উদ্ধার করেন সেনা কর্মকর্তাদের পরিবারদের। শেষ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর প্রজ্ঞা, বুদ্ধিমত্তা, কৌশল ও দূরদর্শী নেতৃত্ব, সশস্ত্র বাহিনী প্রধানদের আন্তরিক সহযোগিতায় অবসান ঘটে তথাকথিত বিডিআর বিদ্রোহের।
বড় ধরনের রক্তপাত ও গৃহযুদ্ধের হাত থেকে দেশ ও জাতিকে রক্ষা করলেও শেখ হাসিনার দায়িত্ব তখনো শেষ হয়নি। কঠিন শোকের মধ্যেও সমগ্র সেনাবাহিনীর সদস্যরা শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে প্রতিশোধ স্পৃহায় মেতে ওঠেননি নেত্রীর প্রতি আস্থার কারণে। আর তাদের দেশপ্রেম ও সংযমের কথা দেশের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে বলেই তিনি ২০০৯সালের মার্চের প্রথম দিন সেনাকুঞ্জে সেনা-কর্মকর্তাদের মুখোমুখি হয়ে তাদের ক্ষোভের প্রশমন করেন। সেনাকুঞ্জের সেই সাক্ষাতের ঘটনা নিয়ে বিরুদ্ধ পক্ষ ইন্টারনেটে নানা অপপ্রচার চালায় এবং এখনো তা অব্যাহত রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ব্যক্তিগত জীবনের শোকের কথা বলে সেদিন উপস্থিত সেনাদের প্রাথমিক বিভ্রান্তির অবসান করেছিলেন। তবে সেনাপ্রধান ও প্রধানমন্ত্রীর সামনে বিক্ষুব্ধ অফিসারদের আচরণ শৃঙ্খলা পরিপন্থী হলেও শেখ হাসিনার পরিস্থিতি মোকাবেলার ক্ষমতায় তা বীভৎস হয়ে ওঠেনি। বরং নির্বাচিত ও গণতান্ত্রিক সরকারের নির্দেশকে অসীম মর্যাদা দিয়েছিলেন সেনা কর্মকর্তারা। সেনাকুঞ্জে তাদের চিৎকার ও ক্রন্দনের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী সেদিন শোকের প্রকাশ দেখেছিলেন।
Advertisement
বিডিআর পুনর্গঠনের কাজ শেষ হয়েছে তার পরপরই। নাম পরিবর্তন করে বিজিবি রাখা হয়েছে। ২০০৯ সালের ৮ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদে ‘বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ’ আইন পাস করা হয়। বাহিনীর নতুন নামের সঙ্গে সঙ্গে এর মনোগ্রাম, পোশাক, ব্যাজ পরিবর্তন করা হয়েছে। বিজিবি পুনর্গঠনের এই ব্যাপক তৎপরতার সঙ্গে সঙ্গে শেখ হাসিনা সরকার কর্তৃক শহীদ সেনা পরিবারদের জন্য নেওয়া উদ্যোগগুলো উল্লেখের দাবি রাখে। হত্যাকাণ্ডে শহীদ সামরিক কর্মকর্তাদের পরিবারের পুনর্বাসনের লক্ষ্যে সরকারের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। আর্থিক সহযোগিতা দেওয়া হয়েছে কয়েকটি তহবিল থেকে। প্রতিটি পরিবারের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অনুদান দশ লক্ষ টাকা; সেনাবাহিনী কল্যাণ তহবিল হতে অনুদান পাঁচ লক্ষ; বিডিআর তহবিল থেকে অনুদান পঞ্চাশ হাজার; বাংলাদেশ এ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকস কর্তৃক প্রতি বছর চার লক্ষ আশি হাজার টাকা হিসেবে অদ্যাবধি সর্বমোট ০৫ বছরে চব্বিশ লক্ষ টাকা প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া শহীদ অফিসার পরিবারবর্গকে দুই লক্ষ টাকার ট্রাস্ট মিউচুয়্যাল ফান্ডের প্লেসমেন্ট শেয়ার প্রদান করা হয়েছে। তাছাড়া নিয়মানুযায়ী প্রত্যেক শহীদ পরিবারকে পরিবার নিরাপত্তা প্রকল্প তহবিল, ডিএসওপি ফান্ড, কল্যাণ তহবিল হতে অনুদান, মৃত্যু আনুতোষিক, ছুটির পরিবর্তে নগদ অর্থ, কম্যুটেশন এবং মাসিক পেনশন প্রদান করা হয়েছে। আর্থিক প্রণোদনা ও সহযোগিতার সঙ্গে অন্যান্য কল্যাণমূলক কাজও করা হয়েছে শহীদ পরিবারবর্গের জন্য।
শহীদ অফিসার পরিবারের ৩২ জন সদস্যকে চাকুরি প্রদান করা হয়েছে তন্মধ্যে ০৩ (তিন) জন বিদেশে চাকুরিরত আছেন। শহীদ অফিসার পরিবারবর্গের ৮৪ জন সদস্যকে (স্ত্রী/সন্তান) বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি এবং বিনা বেতনে অধ্যয়নের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাদের ০৯ জন সন্তানকে বিভিন্ন ক্যাডেট কলেজে ভর্তি করা হয়েছে। প্রতি বছর ০১ জন শহীদ অফিসারের সন্তানকে ক্যাডেট কলেজে ভর্তির করা হচ্ছে।তাদের স্থায়ী আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিতের জন্য ৩৭ জনকে মিরপুর ডিওএইচএস'এ প্লট দেয়া হয়েছে। ১০ জনকে মিরপুর ডিওএইচএস'এ ০২ টি করে স্বয়ংসম্পূর্ণ ফ্ল্যাট প্রদানের জন্য বহুতল ভবন নির্মাণ শেষ হয়েছে। তাছাড়া ১১ জন অফিসার শহীদ হওয়ার পূর্বেই বিভিন্ন ডিওএইচএস এবং রাজউক প্লট পেয়েছিলেন। ৪৪ জন শহীদ অফিসার পরিবারের অস্থায়ী আবাসন নিশ্চিতকল্পে সেনানিবাসের অভ্যন্তরে সরকারি পারিবারিক বাসস্থান বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ১৫ জন শহীদ অফিসারের গৃহ নির্মাণ অগ্রিম ঋণের সুদ ও আসল মওকুফ এবং ২৫ জন শহীদ অফিসার যাদের ট্রাস্ট ব্যাংকে লোন ছিল তাদের ২০০৯ সালের লোনের উপর সুদ মওকুফ করা হয়েছে। তাদের দুধ কুপন কার্ড, সামরিক টেলিফোন সংযোগ এবং নিয়মানুযায়ী সিএমএইচএ চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। নানা প্রতিকূলতা, অপপ্রচার ও চক্রান্তকে অতিক্রম করে তথাকথিত বিডিআর বিদ্রোহের বিচার সম্পাদনের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনা সরকার একটি ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালন করেছে। অন্যদিকে শহীদ পরিবারবর্গের জন্য প্রয়োজনীয় পরিকল্পনা গ্রহণ করে তাদের পুনর্বাসন সম্পন্ন করা হয়েছে।
মূলত শেখ হাসিনা সরকারের যাত্রারম্ভে দেশের এক জটিল ও ভয়াবহ পরিস্থিতি মোকাবেলা করে বিশ্ব নেতৃবৃন্দের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে আমরা সক্ষম হই। উইকিলিকসে প্রকাশিত বাংলাদেশের তৎকালীন মার্কিন রাষ্ট্রদূত মরিয়ার্টির পাঠানো একটি বার্তায় তাৎক্ষণিকভাবে বিদ্রোহীদের ওপর সামরিক আক্রমণ পরিচালনার নির্দেশ দেওয়া সম্পর্কে বলা হয়- প্রধানমন্ত্রী সে রকম নির্দেশ দিলে আরও বেশি রক্তপাত হতো। তিনি লিখেছেন: ‘অধিকাংশ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে বিদ্রোহের শুরুতে; সংবাদমাধ্যম ও আন্তর্জাতিক মহল মনে করে, আরও রক্তপাত যে এড়ানো গেছে, তার কৃতিত্ব হাসিনার।’ অর্থাৎ পিলখানা হত্যাযজ্ঞের সেই দিনগুলোতে প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ় মনোভাব ও প্রজ্ঞামণ্ডিত দিক-নির্দেশনা এবং পরবর্তী সময়ে সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কুৎসা রটনার সমুচিত জবাব দিয়ে ষড়যন্ত্রকারীদের মুখে কালিমা লিপ্ত করেছেন তিনি। বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় শেখ হাসিনার নেতৃত্বের আবশ্যকতা প্রশ্নাতীত। এজন্য তিনি জনগণের কাছে আস্থার প্রতীক।
লেখক : ইউজিসি পোস্ট ডক ফেলো এবং বিশিষ্ট লেখক, কবি, কলামিস্ট, সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরাম, নির্বাহী কমিটির সদস্য, সম্প্রীতি বাংলাদেশ এবং অধ্যাপক, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। drmiltonbiswas1971@gmail.com
এইচআর/এমকেএইচ