প্রবাস

মিশিগানে পাবলিক লাইব্রেরিতে ‘বর্ণমালা বাংলা কর্নার’

যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান অঙ্গরাজ্যের হ্যামট্রামেক সিটি পাবলিক লাইব্রেরির একটি অংশে যুক্ত হলো ‘বর্ণমালা বাংলা কর্নার’।

Advertisement

২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে এই কর্নারের উদ্বোধন করা হয়। এ দিন দুপুর ১২টায় আনুষ্ঠানিকভাবে ‘বর্ণমালা বাংলা কর্নার’-এর যাত্রা শুরু হয়।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন হ্যামট্রামেক সিটির মেয়র ক্যারন মাজেস্কি। বিশেষ অতিথি ছিলেন হ্যামট্রামেক পাবলিক লাইব্রেরির পরিচালক টামারা সোছাকা, সিটির দুই বাঙালি কাউন্সিলম্যান মোহাম্মদ কামরুল হাসান ও নাঈম চৌধুরী। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন মৃদুল কান্তি সরকার।

মেয়র ক্যারন মাজেস্কি বলেন, ‘আজকের এই দিনটা হচ্ছে প্রকৃত দিন। এই বিষয় নিয়ে আলোচনা করার কারণ হলো এই দিনে বাংলাদেশসহ গোটাবিশ্ব তাদের নিজেদের ভাষা দিবস পালন করছে। পাশাপাশি মিশিগান রাজ্যের হ্যামট্রামেক সিটিতেও পালিত হচ্ছে। হ্যামট্রামেক সিটি প্রশাসন এই বিষয়কে খুবই গুরুত্ব প্রদান করে। যে ভাষায় আমাদের পূর্বপুরুষেরা কথা বলেছেন, বড় হয়েছেন এবং যে ভাষায় আমাদের মনের ভাব প্রকাশ করি।’

Advertisement

তিনি আরও বলেন, ‘আমি জানি না কতজন আমাদের এই হ্যামট্রামেক সিটি সম্পর্কে ধারণা আছে। আমি নিঃসন্দেহে বলতে পারি এই সিটি হচ্ছে বহুজাতি ও বিভিন্ন ভাষার মানুষের মিলনস্থল ও বসবাসের জায়গা। এখানে প্রচুর সংখ্যক বাংলা ভাষী মানুষ বসবাস করছেন। আমি তাদেরকে স্বাগত জানাই। হ্যামট্রামেক পাবলিক লাইব্রেরি কর্তৃপক্ষ যুগের পর যুগ ধরে বহু ভাষার মানুষকে সেবা দিয়ে যাচ্ছে। এটা সিটির জনসাধারণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন।’

হ্যামট্রামেক পাবলিক লাইব্রেরির পরিচালক তামারা সোচাকা বলেন, ‘এই পাবলিক লাইব্রেরিটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে অভিবাসীদের জন্য। আমাদের এখানে বেশিরভাগ বই হচ্ছে ইংলিশ তবে অন্যান্য ভাষার বইও রয়েছে। আমি এবং আমার লাইব্রেরি বোর্ডের পক্ষ থেকে ডাক্তার দেবাশিষ মৃধা ও চিনু মৃধাকে অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। অনেক বাংলা বই আমাদের এই লাইব্রেরিতে দেয়ার জন্য।’

বর্ণমালা বাংলা কর্নারের উদ্যোক্তা ডাক্তার দেবাশিষ মৃধা ও চিনু মৃধা বলেন, ‘এই পাবলিক লাইব্রেরিতে বাংলা বইয়ের সংযোজন করতে পেরে আমরা খুবই আনন্দিত। লাইব্রেরিতে বাংলা বইয়ের সংযোজনের সুযোগ করে দেয়ার জন্য সিটি মেয়র, লাইব্রেরি পরিচালকসহ দুই সিটি কাউন্সিলম্যানের প্রতি কৃতজ্ঞ এবং ধন্যবাদ প্রদান করছি। আমরা মনে করি প্রবাসে এটা আমাদের বাংলা ভাষার মানুষের জন্য ইতিহাস হয়ে থাকবে।’

আগামীতে বাংলা সংস্কৃতির যাবতীয় অডিও, ভিডিও ক্লিপসহ অন্যান্য আনুষঙ্গিক বই প্রদান করবেন বলে জানান তারা।

Advertisement

অনুষ্ঠানে সিটি কাউন্সিলম্যান মোহাম্মদ কামরুল হাসান ও নাঈম চৌধুরী বাংলা ভাষার ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির গুরুত্ব নিয়ে বক্তব্য প্রদান করেন।

জেডএইচ/এমকেএইচ