আন্তর্জাতিক

৪ রাজ্য থেকে পশ্চিমবঙ্গ যেতে লাগবে করোনা নেগেটিভ সনদ

ভারতে করোনার টিকা প্রয়োগ শুরু হয়েছে বেশ কিছুদিন আগে। তারপরেও কয়েকটি রাজ্যে করোনার নয়া স্ট্রেইনের সংক্রমণের বিষয়টি মাথায় রেখে নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার।

Advertisement

সেই সিদ্ধান্ত মতে, ভারতের মহারাষ্ট্র, কেরালা, তেলেঙ্গানা ও কর্নাটক থেকে কেউ বিমানে করে কলকাতা আসলে তাদের করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। আগামী শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। খবর : ইন্ডিয়া টাইমস।

বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) জারি করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে আসার ৭২ ঘণ্টার আগে আরটিপিসিআর পদ্ধতিতে করোনা পরীক্ষা করাতে হবে। এরপর কেবল রিপোর্ট নেগেটিভ হলেই যাত্রীদের পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ করতে দেয়া হবে।

ভারতজুড়ে করোনার টিকাদান কার্যক্রমের মধ্যেই কয়েকটি রাজ্যে সংক্রমণ মাথা চারা দিচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, করোনার নতুন স্ট্রেইনের কারণে এই সংক্রমণ বাড়ছে।

Advertisement

সিএসআইআর-সিসিএমবির একটি প্রতিবেদন বলছে, ভারতে সাত হাজারের মতো মানুষের শরীরে করোনার নতুন স্ট্রেইন শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে কোনো কোনো স্ট্রেইন খুবই ভয়ঙ্কর। আর এই নয়া স্ট্রেইনের কারণেই মহারাষ্ট্র ও কেরালায় সংক্রমণ বাড়ছে কি-না তা খতিয়ে দেখতে ইতোমধ্যে জিনোম সিকোয়েন্সিং শুরু করেছে এই দুই রাজ্যের সরকার।

এই দুই রাজ্য থেকে ৮০০ এবং ৯০০ নমুনা পরীক্ষার জন্য কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। সংক্রমণ বৃদ্ধির জন্য করোনার নতুন প্রজাতি দায়ী, নাকি অন্য কোনো কারণ আছে তা আগামী তিন থেকে চারদিনের মধ্যেই পরিষ্কার হয়ে যাবে বলে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।

তবে ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই দুই রাজ্যে নয়া স্ট্রেইনের জন্যই যে করোনা বাড়ছে, এমন কোনো তথ্য তারা হাতে পায়নি। রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকায় পাঞ্জাবে অমরিন্দর সিং প্রশাসন ১ মার্চ থেকে বড় জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। বাড়ির অনুষ্ঠানে সর্বাধিক ১০০ জন ও বাইরের জমায়েতে সর্বাধিক ২০০ জন উপস্থিত থাকতে পারবেন। এছাড়া বর্তমানে চালু থাকা সব বিধিই বহাল থাকছে।

গত ১৬ জানুয়ারি থেকে ভারতজুড়ে শুরু হয়েছে টিকা কার্যক্রম। ইতোমধ্যে এক কোটির বেশি মানুষের প্রথম ডোজ টিকা নেয়াও শেষ হয়েছে। এরপরেও আচমকা দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি নতুন করে মহামারির আশঙ্কা জাগাচ্ছে সাধারণের মনে।

Advertisement

এমআরআর/এমকেএইচ