জাতীয়

প্রাণভিক্ষার আবেদনের অপেক্ষায় আছি : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান জানিয়েছেন, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী এবং আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের তরফ থেকে প্রাণভিক্ষার আবেদন করা হবে কিনা, সেই সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছেন তারা। শুক্রবার রাতে বিবিসিকে এ কথা জানান তিনি। তিনি আরো জানান, এক্ষেত্রে যে প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হয়, সেই অনুযায়ী সব কাজ এগিয়ে নেয়া হচ্ছে।১৯৭১ সালে মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এই দু’জন রায় পুনর্বিবেচনার যে আবেদন করেছিলেন, তা গত বুধবার আপিল বিভাগ নাকচ করে দেয়।বৃহস্পতিবার বিচারকরা এই রায়ের নথিতে স্বাক্ষর করেন। এরপর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল হয়ে ফাঁসির দণ্ডের আদেশ কারা কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছে। কারা কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে দু’জনকে তাদের রায় পড়িয়ে শোনানো হয়। এরপর তাদের কাছ থেকে জানতে চাওয়া হয়, তারা প্রাণভিক্ষা চাইবেন কী না। তখন এ বিষয়ে তারা কোন সিদ্ধান্ত জানাননি।একজন উর্ধ্বতন কারা কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে বিবিসিকে জানান, আবারো কারা কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে তাদের কাছ থেকে জানতে চাওয়া হবে তারা প্রাণভিক্ষার আবেদন করবেন কিনা।এদিকে দণ্ডপ্রাপ্ত দু’জনের পরিবারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, তাদের আইনজীবীরা আদালতে গিয়ে এদের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় চেয়েছেন। তবে এখনো পর্যন্ত কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে কিছু জানানো হয়নি।আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ হচ্ছেন জামায়াতে ইসলামীর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গুরুত্বপূর্ণ নেতা। তিনি দলের সেক্রেটারি জেনারেল। অন্যদিকে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীও বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ সিনিয়র নেতা এবং সাবেক মন্ত্রী।বৃহস্পতিবার এই দুজনের সঙ্গে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে দেখা করেন তাঁদের পরিবারের সদস্যরা। দুই পরিবারের পক্ষ থেকে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কারা কর্তৃপক্ষ তাদের এই সাক্ষাতের ব্যবস্থা করে দেন।প্রথমে সকালে সাকা চৌধুরীর স্ত্রী ফারহাত কাদের চৌধুরী ও ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরীসহ পরিবারের বেশ কয়েকজন সদস্য কারাগারে যান। তবে দেখা করে বেরিয়ে সাংবাদিকদের সাথে কোনও কথা বলেননি তারা।ফাঁসির দণ্ড পাওয়া সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে বুধবার কাশিমপুর কারাগার থেকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে আসা হয়।এরপর মানবতাবিরোধী অপরাধে ফাঁসির দণ্ড পাওয়া জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের পরিবারের সদস্যরাও তার সঙ্গে দেখা করতে যান।এই দুটি রায় ঘোষণার আগে থেকেই ঢাকা শহরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের নিরাপত্তা ব্যবস্থাও জোরদার করা হয়েছে।সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে ফেসবুক, ভাইবার সহ বিভিন্ন মেসেজিং অ্যাপ বন্ধ করে দিয়েছে সরকার।এসএইচএস/পিআর

Advertisement