দুই ডোজ টিকা নেয়ার পরও বিদেশ ভ্রমণে করোনাভাইরাসের নেগেটিভ সনদ লাগবে। একইসঙ্গে টিকাগ্রহণের সনদও রাখতে হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
Advertisement
মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে এক সভা শেষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্পষ্টভাবে এ কথা জানান।
বিদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে বর্তমানে সরকার নির্ধারিত হাসপাতাল থেকে আরটি-পিসিআর পরীক্ষার মাধ্যমে করোনা নেগেটিভ সনদ নিতে হয়। প্রশ্ন উঠেছিল- টিকা নেয়ার পরও এই সনদের প্রয়োজন হবে কি-না।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘অবশ্যই লাগবে (নেগেটিভ সনদ)। যে দেশে যাবে তারা এটা দেখতে চাইবে। সে ডাবল ডোজ নিয়েছে কি-না এবং কতদিন আগে নিয়েছে। বিদেশে যেতে হলে অবশ্যই নেগেটিভ সনদ লাগবে এবং ডাবল ডোজের সার্টিফিকেটও নিতে হবে।’
Advertisement
টিকা নেয়ার জন্য ৩৬ লাখের বেশি মানুষ রেজিস্ট্রেশন করেছেন জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘ইতোমধ্যে ২৩ লাখ ৮০ হাজার মানুষকে টিকা দেয়া হয়েছে। এরমধ্যে পুরুষ ১৫ লাখ এবং নারীর সংখ্যা ৮ লাখ।’
অন্য কোনো দেশ থেকে টিকা আনার বিষয়ে আলোচনা চলছে কিনা, জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা তো আমাদের সঙ্গে যে-ই আলোচনা করতে চায়, তাদের সঙ্গে আলোচনা করি। যারা আবেদন করেছে, তার মধ্যে ভারতের বায়োটেক আছে, এটি আগেও শুনেছেন। এছাড়া চাইনিজ একটি সরকারি কোম্পানিও আছে।’
রাশিয়ার সঙ্গে টিকা বিষয়ে কথা হয়েছে কি-না এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘রাশিয়ার সঙ্গে কথা চিঠিপত্র পর্যায়ে আছে। কমপ্লিট লেভেলে এগিয়ে আসেনি এখনও।’
জাহিদ মালেক বলেন, ‘আপনাদের এটাও মনে রাখতে হবে যে, টিকাগুলো রাখার টেম্পারেচার অনেক কম, সেগুলো আমাদের দেশে ব্যাপকহারে ব্যবহার করা কঠিন। সেজন্য আমরা ওই সমস্ত টিকায় অগ্রাধিকার দিতে হবে। যেগুলো আমরা দুই থেকে আট ডিগ্রিতে রাখতে পারি, যেটা আমরা এখন করে আসছি।’
Advertisement
এর আগে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের আধুনিকায়ন, সম্প্রসারণ এবং পুননির্মাণ শীর্ষক প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়ে সভা হয়।
আরএমএম/এএএইচ/জিকেএস