স্বাধীনতাবিরোধীদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা চেয়ে চিঠি দেয়ার পর এখন পর্যন্ত দুই হাজার ৫০৪ জনের তালিকা পাওয়া গেছে। জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও যুদ্ধকালীন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডাররা এ তথ্য দিয়েছেন। এর মধ্যে বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে ৮৯৭ জন এবং বৃহত্তর রংপুর জেলা থেকে ১৬০৭ জনের নাম পাওয়া গেছে।
Advertisement
মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির ১৮তম বৈঠকে এ তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকের কার্যপত্র থেকে জানা যায়, এর আগে সংসদীয় কমিটি রাজাকার ও স্বাধীনতাবিরোধীদের তালিকা এখন পর্যন্ত যতটুকু পাওয়া গেছে, তা অবিলম্বে গেজেট আকারে প্রকাশের সুপারিশ করে। এর প্রেক্ষিতে এ তথ্য জানানো হয়।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব (কাউন্সিল অফিসার) মো. জাহাঙ্গীর হোসেন স্বাক্ষরিত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, স্বাধীনতাবিরোধী রাজাকার, আলবদর, আল-শামস ও শান্তি কমিটির সদস্যদের সঠিক ও পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রণয়নের লক্ষ্যে একটি উপকমিটি গঠন করা হয়েছে।উপ-কমিটির কাছ থেকে তালিকা পাওয়া গেলে প্রাপ্ত তালিকাসহ যাচাই-বাছাইপূর্বক গেজেট আকারে প্রকাশের অনুরোধ জানিয়ে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের কাছে পাঠানো হবে।
Advertisement
বৈঠকে শেষে সংসদীয় কমিটির সভাপতি ও সাবেক নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান জাগো নিউজকে বলেন, যাচাই-বাছাই অনির্দিষ্টকাল চলতে পারে না এবং এটাকে ‘নিয়মিতকরণ’ বলে সংজ্ঞায়িত করে প্রক্রিয়াটি দ্রুত সম্পন্নের সুপারিশ করা হয়। এছাড়া বীর মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা সেবা বৃদ্ধির লক্ষ্যে শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং ঔষধ কেনার প্রয়োজনীয় অর্থ বৃদ্ধির ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কমিটি সুপারিশ করে।
জানা গেছে, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশের লক্ষ্যে জেলা ও উপজেলার সংশ্লিষ্ট সবার সমন্বয়ে শিগগিরই চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের সুপারিশ করা হয়। পরবর্তী প্রজন্মকে অবহিত করার উদ্দেশ্যে বঙ্গবন্ধু কর্ণার ও পাঠাগার স্থাপনের পরমর্শ দেয়া হয়েছে।
কমিটির সভাপতি শাজাহান খানের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম, কাজী ফিরোজ রশীদ ও মোছলেম উদ্দিন আহমদ অংশ নেন। এছাড়া বৈঠকে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিভিন্ন সংস্থা প্রধানসহ মন্ত্রণালয় এবং সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এইচএস/এমএসএইচ/জেআইএম
Advertisement