বুধবার চার ম্যাচ সিরিজের তৃতীয় টেস্ট মুখোমুখি হবে ভারত ও ইংল্যান্ড। সিরিজে এখনও পর্যন্ত বিরাজ করছে ১-১ সমতা। দ্বিতীয় ম্যাচে ৩১৭ রানের ব্ড় ব্যবধানে জেতায় স্বাভাবিকভাবেই বাড়তি আত্মবিশ্বাস পাবে স্বাগতিক ভারত।
Advertisement
তবে এমনটা মানতে নারাজ সফরকারী দলের তারকা অলরাউন্ডার বেন স্টোকস। তার মতে, পুরোপুরি ভিন্ন রকম হবে তৃতীয় টেস্ট খেলা। এর পেছনে কারণ হিসেবে গোলাপি বল ও দিবারাত্রির ম্যাচের দিকেই জোর দিয়েছেন স্টোকস।
আহমেদাবাদের মোটেরায় নবনির্মিত সরদার প্যাটেল স্টেডিয়ামে গোলাপি বলের দিবারাত্রির ম্যাচই খেলবে ভারত-ইংল্যান্ড। ফ্লাডলাইটের আলোয় গোলাপি বলে খেলতে ইংলিশ পেসারদের জিভে জল আসছে বলে জানিয়েছেন স্টোকস।
তার মতে, তৃতীয় ম্যাচে ইংল্যান্ডের পেসাররা অনেক বড় ভূমিকা রাখবে। টকস্পোর্টসকে দেয়া সাক্ষাৎকারে স্টোকস বলেন, ‘আমি বলে দিতে পারি স্টুয়ার্ট ব্রড, জিমি অ্যান্ডারসন এবং জোফরা আর্চারদের জিভে জল আসছে। এটা পুরোপুরি ভিন্ন রকমের খেলা।’
Advertisement
তবে গোলাপি বলের অনুশীলন পর্বটা মোটেও স্বস্তিদায়ক কিছু ছিল না ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যানদের জন্য। ফ্লাডলাইটের আলোয় ব্রড-আর্চারদের আচমকা লাফিয়ে ওঠা গোলাপি বলের একেকটি গোলা মোকাবিলা করতে বেগ পেতে হয়েছে ব্যাটসম্যানদের। যে কারণে নেটে পেসারদের বিপক্ষে ব্যাটিং বন্ধ করে দেয় ইংলিশরা।
এ বিষয়টি জানিয়ে স্টোকস বলেন, ‘অনুশীলন পর্ব মজার ছিল। যখন লাইট জ্বলে উঠল, তখন নেটে দাঁড়ানো বেশ কঠিন হয়ে পড়ে। বোলাররা নেটে বোলিং করা থেকে থামতে বাধ্য হয়েছিল। কারণ আমাদের ভয় হচ্ছিল যে কোনো ব্যাটসম্যান হয়তো ইনজুরিতে পড়তে পারে। হঠাৎ করেই লেন্থ থেকে লাফিয়ে ওঠা শুরু করে দেয় এবং কয়েকজনের গায়েও লাগে।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘বোলারদেরকে তাদের বোলিং অনুশীলন শেষ করানোর জন্য আমরা আবার মাঠে চলে যাই। যদিও আমরা জানি না, উইকেটের আচরণও এমন (নেটের মতো) থাকবে কি না। তবে লাল বলে দিনের আলোতে বোলিং ও গোলাপি বলে লাইট জ্বালিয়ে বোলিংয়ের পার্থক্যটা আপনি খালি চোখেই বুঝতে পারবেন।’
উল্লেখ্য, এখনও পর্যন্ত তিনটি দিবারাত্রির টেস্ট খেলেছে ইংল্যান্ড। ২০১৭ সালের ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ইনিংস ও ২০৯ রানের বড় জয় দিয়ে যাত্রা শুরু করলেও, পরের দুই ম্যাচে বিব্রতকর পরাজয়ের দেখাই পেয়েছে তারা। অন্যদিকে দুইটি দিবারাত্রির টেস্ট খেলে একটি করে জয়-পরাজয় পেয়েছে ভারত।
Advertisement
এসএএস/জিকেএস