পরীক্ষা শুরুর এক ঘণ্টা আগে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের (রাকাব) কর্মকর্তা (দ্বিতীয় শ্রেণি) পদের নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত করায় ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করেছেন চাকরি প্রার্থীরা। শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে সাড়ে ৪টা পর্যন্ত এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।পরীক্ষা স্থগিত ঘোষণার পর বেলা সাড়ে ৩টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করেন পরীক্ষার্থীরা। পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, একই পদের সকাল সাড়ে ১০টা থেকে অনুষ্ঠিত হওয়া পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন বিজোড় রোল নম্বরধারী চাকরি প্রার্থীরা। বিকেলে সাড়ে ৩টা থেকে জোড় রোল নম্বরধারীদের পরীক্ষা গ্রহণের কথা ছিল। কিন্তু সকালের পরীক্ষার সময় একটি কক্ষে জোড় রোল নম্বরধারীদের জন্য নির্ধারিত বিকালের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র পরীক্ষার্থীদের মধ্যে বিতরণ করা হয়। পরীক্ষার হলে দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকরা বিষয়টি বুঝতে পেরে তাৎক্ষণিকভবে ওই প্রশ্নপত্র ফিরিয়ে নেন এবং বিজোড় রোল নম্বরধাীদের পরীক্ষা প্রশ্নপত্র প্রদান করে পরীক্ষা গ্রহণ করেন। প্রথম শিফটের পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর দুপুর আড়াইটার দিকে পরীক্ষা স্থগিতের নোটিশ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ভবনে টানিয়ে দেয়া হয়।ক্যাম্পাস ঘুরে দেখা গেছে, পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য পরীক্ষার্থীরা বিভিন্ন ভবনে ঢুকতে গিয়ে দেখতে পান পরীক্ষা স্থগিতের নোটিশ। এরপরই একদল চাকরি প্রার্থী বেলা সাড়ে ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করেন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে রেখেছেন। পরীক্ষার্থীদের দাবি যে কোনো মূল্যে তাদের পরীক্ষা গ্রহণ করতে হবে।নিয়োগ পরীক্ষা গ্রহণের জন্য রাকাবের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগ। বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক জিন্নাত আরা বেগম সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ‘অনিবার্য কারণবশতঃ রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাকের কর্মকর্তা (দ্বিতীয় শ্রেণি) পদে নিয়োগ পরীক্ষা সাড়ে ৩টা থেকে সাড়ে ৪টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিতব্য পরীক্ষা স্থগিত করা হলো।’ জানতে চাইলে রাকাবের জনসংযোগ কর্মকর্তা আবদুল্লাহ সালাহউদ্দিন গাজী বলেন, ‘পরীক্ষা গ্রহণের সম্পূর্ণ দায়িত্ব রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগ। তারা কেন পরীক্ষা স্থগিত করেছে- এ বিষয়ে তারাই বলতে পারবে।’নিয়োগ পরীক্ষায় সকাল সাড়ে ১০টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত বিজোড় রোল নম্বরধারী ১৫ হাজার ৪৪৮ জন প্রার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। দ্বিতীয় শিফটে বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে সাড়ে ৪টা পর্যন্ত জোড় রোল নম্বরধারী ১৫ হাজার ৪৫৮ জন চাকরি প্রার্থীর অংশগ্রহণ করার কথা ছিল।রাশেদ রিন্টু/এআরএ/পিআর
Advertisement