দেশজুড়ে

বগুড়ায় জাপার এমপিকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত

বগুড়া-৭ (শাজাহানপুর-গাবতলী) আসনের জাতীয় পার্টির এমপি অ্যাডভোকেট আলতাব হোসেনকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেছেন দলীয় নেতাকর্মীরা। শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বগুড়া জিলা পরিষদ মিলনায়তনে জেলা জাতীয় পার্টির বর্ধিত সভায় এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ এমপি অ্যাডভোকেট আলতাব হোসেনকে উদ্ধার করে সার্কিট হাউজে নিয়ে যায়।সভায় উপস্থিত নেতাকর্মীরা জানান, আগামী ১২ ডিসেম্বর জেলা জাতীয় পার্টির সম্মেলন উপলক্ষে বর্ধিত সভার আয়োজন করা হয়। জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি ও বগুড়া-২ আসনের এমপি শরিফুল ইসলাম জিন্নাহের সভাপতিত্বে শুক্রবার সকাল ১০টায় বর্ধিত সভা শুরু হয়। সভায় বিভিন্ন উপজেলা পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য দেয়ার এক পর্যায় জেলা জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক লুৎফর রহমান স্বপন বক্তব্য রাখেন।তিনি বক্তব্যে এমপি আলতাব হোসেনের বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারীতা তুলে ধরেন। এরপর অ্যাডভোকেট আলতাব হোসেনকে বক্তব্য রাখার জন্য মাইকে আহ্বান জানানো হয়। তিনি বক্তব্য শুরু করতেই মঞ্চের নীচে বসে থাকা নেতাকর্মীদের মধ্য থেকে ধড়-ধড় করে চিৎকার শুরু হয়। একপর্যায়ে কিছু নেতাকর্মী মঞ্চে উঠে আলতাব হোসেনকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন। এছাড়াও এমপি আলতাব হোসেনকে লক্ষ্য করে প্লাস্টিকের চেয়ার ছুড়ে মারা হয়। এসময় মঞ্চে থাকা জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ, সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম এমপি, নুরুল ইসলাম তালুকদার এমপি বিক্ষুদ্ধ নেতাকর্মীদের হাত থেকে আলতাব হোসেনকে রক্ষা করেন। এদিকে হট্টগোলের খবর পেয়ে পুলিশ এমপি আলতাব হোসেনকে উদ্ধার করে বগুড়া সার্কিট হাউজে নিয়ে যায়। পরে জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম ওমর এমপি নামাজের বিরতীর কথা বলে সভা শেষ করার ঘোষণা দেন।জেলা জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক লুৎফর রহমান স্বপন জানান, গাবতলী উপজেলার মড়িয়া আর এমপি উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি মনোনয়নের জন্য এমপি আলতাব হোসেন তাকে ডিও লেটার দিয়েছেন। একই বিদ্যালয়ে সভাপতি মনোনয়নের জন্য তিনি আওয়ামী লীগ-বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত আরো তিনজনকে ডিও লেটার দিয়ে জটিলতা সৃষ্টি করেছেন। শুধু তাই নয় গাবতলী ও শাজাহানপুর উপজেলার প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সভাপতি মনোনয়নের ক্ষেত্রে তিনি একই ধরনের জটিলতা সৃষ্টি করে আসছেন। এছাড়াও তিনি জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন না করে টাকার বিনিময়ে অন্য রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের বিভিন্ন কাজে সহযোগিতা করে থাকেন। এসব কারণে দলীয় নেতাকর্মীরা তার উপর ক্ষুব্ধ।এ ব্যাপারে জানতে বগুড়া-৭ (শাজাহানপুর-গাবতলী) আসনের জাতীয় পার্টির এমপি অ্যাডভোকেট আলতাব হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, দলের মধ্যে গ্রুপিং সৃষ্টি হয়েছে। এই কারণেই অরাজকতা হয়েছে।লিমন বাসার/এমএএস/পিআর

Advertisement