দেশজুড়ে

মৌলভীবাজারে পিপিআর রোগে দুই শতাধিক ছাগলের মৃত্যু

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলায় পিপিআর রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রায় দুই শতাধিক ছাগলের মৃত্যু হয়েছে। গত দেড় মাসে এসব ছাগল মারা গেছে। তবে উপজেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ বলছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। আক্রান্ত এলাকায় ছাগলের শরীরে ভ্যাক্সিন প্রদান করা হয়েছে।

Advertisement

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার মাধবপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে পিপিআর রোগে আক্রান্ত হয়ে গত দেড় মাস ধরে বাচ্চাসহ ছাগলের মড়ক শুরু হয়। প্রথম দিকে স্থানীয় প্রাণিসম্পদ বিভাগের পক্ষ থেকে কোনো চিকিৎসা দেয়া হয়নি। ফলে চিকিৎসা সুবিধা বঞ্চিত হয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের কয়েক লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে। তবে প্রাণিসম্পদ বিভাগ এটিকে ঠান্ডাজনিত ও পিপিআর রোগ বলে দাবি করছে।

মাধবপুর ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামের খামারি আতাউর রহমানের ৩১টি, ছয়সিড়ি গ্রামের সাজ্জাদ মিয়ার ২টি, পারোয়াবিল গ্রামের কৃষক ছবুর মিয়ার ১৩টি, রাবেয়া বেগমের ১৪টি, একই এলাকার গোপাল নুনিয়ার ৬টি, ইসমাইল মিয়ার ৫টি, চা শ্রমিক অতুল নুনিযার ১০টি, রামচন্দ্র গড়ের ১০টি, সুমন দাসের ৫টি, শ্রীনাত ভরের ৩টি, শ্রীনাথ দাসের ২টি, সঞ্জয় বীনের ১৩টি, গোপাল নুনিয়ার ৫টি ছাগল মারা গেছে।

একটি সূত্র বলছে, মাধবপুর চা বাগানসহ কমলগঞ্জের বিভিন্ন গ্রামে প্রায় দুই শতাধিক ছাগল পিপিআর রোগে মারা গেছে।

Advertisement

চা শ্রমিক গোপাল নুনিয়া ও সুবল মিয়াসহ অন্যান্য ক্ষতিগ্রস্তরা জানান, এতগুলো ছাগল মারা যাওয়ায় তারা ব্যাপক ক্ষতির শিকার হয়েছেন। এ রোগ সম্পর্কে তাদের কোনো ধারণা নেই। স্থানীয় এক পশু চিকিৎসক অসুস্থ ছাগলের চিকিৎসা করতে গিয়ে জানতে পারেন এটি পিপিআর রোগ।

মাধবপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান পুষ্প কুমার কানু ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘আমি গত দু-তিন দিন ধরে এই সংবাদ শুনছি। তবে মাধবপুর ইউনিয়নেই দুই থেকে আড়াই শতাধিক ছাগল মারা গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কমলগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. হেদায়াত উল্যাহ বলেন, ‘কিছু ছাগল মারা গেছে তবে এখন পিপিআর রোগ নিয়ন্ত্রণে আছে। আক্রান্ত এলাকায় পিপিআর রোগের ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে। বেশিরভাগ ছাগল ঠান্ডায় শ্বাসকষ্টে মারা গেছে। তবে কী পরিমাণ ছাগল মারা গেছে তা এই মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না।’

এসআর/এএসএম

Advertisement