দেশজুড়ে

ভোলায় ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিক বন্ধে অভিযান

ভোলায় স্বাস্থ্য সেবার শর্ত না মানায়  ডায়গনস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিকে অভিযান চালিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। শুক্রবার অভিযান চালিয়ে আটটি সর্তককরণ, তিনটির জরিমানা ও চারটির বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। প্রথম দিনের অভিযানে সতর্ক করা হয়েছে জেলা সদরের আটটি ডায়াগনোস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিককে। এসময় ন্যাশনাল ডায়গনস্টিক সেন্টার, ইসলামিয়া ডায়গনস্টি সেন্টার, ইসলামিয়া মেডিকেলকে ১৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। একই সঙ্গে এদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আব্দুল মান্নান। অপরদিকে, নিম্নমানের ভিটামিন ও সাপ্লিমেন্টারি ফুড উচ্চ দামে বিক্রি করা অবস্থায় সাত হাজার পিস কৌটা জব্ধ করে আগুনে পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। ওই ওষুধ বিক্রির অভিযোগে কর্মকার ফার্মেসিকে জরিমানা করা হয়। অভিযোগ রয়েছে জেলা সদরসহ জেলা ও উপজেলা এমনকি ইউনিয়নে যত্রতত্র গড়ে উঠেছে বেসরকারি মালিকানাধীন ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিক। যেখানে স্বাস্থ্য সেবার কোনো প্রকার শর্ত মানা হচ্ছে না। তাদের বৈধ সনদও অনেক ক্ষেত্রে নেই।  এমন শতাধিক সেন্টারে অভিযান চালানো হবে বলেও জানান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। একই সঙ্গে তথাকথিত ভিটামিনের নামে উচ্চ দামে কৌটা ভিটামিন বিক্রি বন্ধেও অভিযান অব্যাহত রাখা হবে বলেও সূত্র জানান। এসব ভিটামিন বিক্রিতে খুচড়া বিক্রেতা ফার্মেসি মালিক ও ডাক্তারদের মোটা অঙ্কের কমিশন দেয়ার অভিযোগ রয়েছে। অনেক নামি দামি ডাক্তার অনৈতিকভাবেই ওই ভিটামিন রোগীদের কিনতে বাধ্য করারও অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে জেলা উন্নয়ন সভায় অভিযোগ ওঠায় তা বন্ধে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এর আগে জেলাব্যাপী ওষুধ বিক্রেতা ফার্মাসিস্ট সমিতির নেতারা ঐক্যবদ্ধ হয়ে এমন ভিটামিন ও সাপ্লিমেন্টারি ফুড বিক্রি না করার ঘোষণা দেন। এমন কি তারা ডাক্তারদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন। যে ডাক্তার এমন ওষুধ লিখবেন তার ব্যবস্থাপত্রের কোনো ওষুধ কোনো দােকানদার বিক্রি করবেন না বলেও সিদ্ধান্ত নেন। দেড় বছর আগের এমন সিদ্ধান্ত বেশিদিন টেকেনি। ওই ধরনের সাপ্লায়ার ও প্রভাবশালী দালাল চক্রের প্রভাবে ভোলার সর্বত্র ওই ভিটামিন (কৌটা) বিক্রি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন সুশীল সমাজের প্রতিনিধি প্রবীণ সাংবাদিক মো. আবু তাহের। অমিতাভ অপু/এমজেড/এমএস

Advertisement