দেশজুড়ে

প্রতারণা করে প্রতিবন্ধীকে বিয়ে, অতঃপর বর লাপাত্তা

স্ত্রী-সন্তান রেখে প্রতারণা করে প্রতিবন্ধীকে বিয়ের পর লাপাত্তা বর রফিক মিয়া ও তার পরিবারের সদস্যরা। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরের পত্তন ইউনিয়নের আতকাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে ওই প্রতিবন্ধী বাদী হয়ে রফিক মিয়াসহ ছয়জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। মামলাটি বর্তমানে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) তদন্ত করছে।

Advertisement

ভুক্তভোগী পরিবার ও স্থানীয়রা জানান, স্ত্রী ও পাঁচ সন্তানসহ ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে দক্ষিণ পৈরতলায় ভাড়া বাসায় বসবাস করে আসছেন করিম মিয়া (ছদ্মনাম)। বড় মেয়েটি বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী। তার অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে স্থানীয় এক নারী মেয়ের জন্য একটি ছেলের জন্য প্রস্তাব দেন। ছেলেটি আশ্রয় খুঁজে বেড়াচ্ছে বলেন ওই নারী। তার মা-বাবা নেই, অসহায় এতিম। মেয়েকে বিয়ে দিয়ে তোমার বাড়িতে ছেলেকে রেখে দাও বলে প্রস্তাব দেন।

করিম মিয়া মেয়েকে বিয়েরপর ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা কেনার জন্য ৫০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে জামাই রফিকের হাতে তুলে দেন। রফিক সেখান থেকে কিছু টাকা ভেঙে ফেললে তাকে আরও ১০ হাজার টাকা দেন।

একপর্যায়ে করিম মিয়া জানতে পারেন, জামাই রফিক মিয়া বিবাহিত। তার স্ত্রী ও চার সন্তান রয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসা করলে সে সব অপকটে স্বীকার করেন। বিষয়টি নিয়ে তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তার মা ও ভাই মিমাংসার কথা বলে পালিয়ে যান।

Advertisement

পরে ওই প্রতিবন্ধী বাদী হয়ে ৩ ফেব্রুয়ারি মামলা দায়ের করেন। মামলায় রফিক মিয়াসহ ছয়জনকে আসামি করা হয়।

এ বিষয়ে করিম মিয়া বলেন, ‘আমি নিজের ছেলে ভেবে রফিককে আশ্রয় দিয়েছিলাম। সে যাওয়ার আগে ভিডিও রেকর্ডে সব স্বীকার করেছে। মেয়েটি এমনিতে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী। এই ঘটনায় সে আরও ভেঙে পড়েছে। এক তো প্রতিবন্ধী, আবার সে প্রতারণার শিকার হয়েছে। আমি এর বিচার চাই।’

এই বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআইয়ের উপ-পরিদর্শক (এসআই) হুমায়ুন কবির বলেন, ‘এই মামলাটি আমরা তদন্ত শুরু করেছি। ইতোমধ্যে ভিকটিমের পরীক্ষা করা হয়েছে।’

আরএইচ/এমকেএইচ

Advertisement