জাতীয়

বাঙালি চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে এগিয়ে যেতে বিশ্বাসী

বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র আমাদের জিএসপি সুবিধা বন্ধ করে দিয়েছে। কিন্তু এতে আমাদের দেশের কোনো ক্ষতি হয়নি। কারণ বাঙালি বীরের জাতি। তারা চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে এগিয়ে যেতে বিশ্বাসী।’শুক্রবার দুপুর ১২টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হল চত্বরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি শিক্ষার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে দু’দিন ব্যাপি এ সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে ঢাবির ফার্মেসি বিভাগ। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন সাবেক বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান ও ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ চৌধুরী, বাংলাদেশ ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মোস্তাফিজুর রহমান, ফার্মেসি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. সাইফুল ইসলাম, বিভাগীয় চেয়রম্যান অধ্যাপক ড. সিতেশ চন্দ্র বাছার প্রমুখ।মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে নিন্ম মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছি। এবং আমি বিশ্বাস করি আগামী ২০২১ সালের আগেই আমরা উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবো। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণে স্বাধীনতার সংগ্রামের সাথে যে মুক্তির সংগ্রামের কথা বলেছেন সে মুক্তির সংগ্রামে আমরা অনেক এগিয়ে যাচ্ছি। তার অন্যতম একটি নমুন হচ্ছে আমাদের ওষুধ শিল্প।’ তিনি বলেন, ‘আজ আমাদের অনেকগুলো ওষুধ কোম্পানি এফডিএ-এমএইচআরএ-ইইউ-জিসিসি-আনভিসা-টিজিও ইত্যাদি উন্নত দেশগুলোর বিখ্যাত সনদ লাভ করেছে। শুধু তাই নয়, আমরা এখন ১০৪টি দেশে ওষুধ রফতানি করে ওষুধের আমদানিকারক দেশ থেকে রফতানিকারক দেশে পরিণত হয়েছি। এই বিভাগের উত্থান দেশের ওষুধশিল্পের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে প্রবল উত্থান ঘটাতে সাহায্য করেছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘আজ বাংলাদেশের ওষুধ শিল্প উঠে দাঁড়িয়েছে, বাংলাদেশে যেখানে একসময় বার্ষিক ৮০ শতাংশ ওষুধ বিদেশ থেকে আমদানি করতে হতো সেখানে আজ আমদানি হয় মাত্র ৩ শতাংশ, একসময় বিদেশি কোম্পানি এ দেশের ওষুধের বাজারের ৭৫ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করতো সেখানে আজ তারা নিয়ন্ত্রণ করে মাত্র ৭ শতাংশ।’ বর্তমানে দেশের ছাত্র সংগঠনগুলোর অবস্থা নিয়ে আফসোস করে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরাও ছাত্র সংগঠন করতাম। দল করতাম। কিন্তু আমাদের প্রতিপক্ষ ছাত্র সংগঠনের নেতাদের সাথে আমাদের সু-সম্পর্ক ছিল। একই টেবিলে বসে আমরা বিভিন্ন ইস্যুতে মতবিরোধ করতাম। কিন্তু আবার সেখান থেকে বের হলে সবাই এক ছিলাম। আমাদের মধ্যে বন্ধত্বপূর্ণ সম্পর্কটাই বেশি ছিল।’এমএইচ/এসকেডি/এমএস

Advertisement