বুড়িগঙ্গা নদী ও আদি চ্যানেল ঘিরে কামরাঙ্গীরচর এলাকা। ৩ দশমিক ৬৩ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের এই চরে ১৫ লাখের বেশি মানুষের বাস। কিন্তু এখানে শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে শ্রদ্ধা জানাতে ছিল না কোনো শহীদ মিনার। দিবস পালনে নাগরিকদেরও আগ্রহ ছিল কম।
Advertisement
এমন প্রেক্ষাপটে ২০১৮ সালে কামরাঙ্গীরচর সরকারি হাসপাতালের সামনে কেন্দ্রীয়ভাবে একটি শহীদ মিনার নির্মাণ করেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরশনের (ডিএসসিসি) ৫৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোহাম্মদ হোসেন। এখন প্রতি বছর ২১ ফেব্রুয়ারি এই শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানান লাখো মানুষ।
আগামীকাল রোববার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। তাই শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) শহীদ মিনার প্রাঙ্গণসহ আশপাশের এলাকার সব সড়কে আলপনা এঁকেছেন কামরাঙ্গীরচরের ৫০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। তাদের সঙ্গে আলপনা এঁকেছেন কাউন্সিলর মোহাম্মদ হোসেন। এখন শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে কবিতা আবৃত্তি, বক্তব্য, দেশাত্মবোধক গান পরিবেশন করছেন তারা। রাত ১২ টা ১ মিনিটে শহীদ বেদিতে পুষ্পার্ঘ্য প্রদান করবেন কামরাঙ্গীরচরের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। এমন আয়োজনে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন এলাকার বাসিন্দারা।
কাউন্সিলর মোহাম্মদ হোসেন দ্বিতীয়বারের মতো ৫৬ নম্বর ওয়ার্ডে জনপ্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, এই আয়োজনটি কামরাঙ্গীরচরের সর্বস্তরের মানুষের মাঝে ব্যাপক প্রভাব সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের আলপনা আঁকা কাজে অংশগ্রহণ করতে পেরে খুবই আনন্দিত ও গর্বিত। এর মাধ্যমে তাদের মনে দেশপ্রেম জন্মাবে। একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে তা আমার জন্য বিরল সম্মানের।
Advertisement
তিনি বলেন, কামরাঙ্গীরচর ছিল একটি অবহেলিত জনপদ। রাজধানীর সীমানায় থাকলেও দীর্ঘদিন ধরে এই চরে অবকাঠামোগত উন্নয়ন হয়নি।ক্ষমতাসীন দল তথা স্থানীয় সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম এই কামরাঙ্গীরচরে আলো জ্বালিয়েছেন। তার প্রতি আমরা চির কৃতজ্ঞ।
কামরাঙ্গীরচর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরশনের ৫৫ ও ৫৭ নম্বর ওয়ার্ড রয়েছে। এই দুই ওয়ার্ডের লোকজনও ওই শহীদ মিনারে গিয়ে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
এমএমএ/এআরএ/জিকেএস
Advertisement