তথ্যপ্রযুক্তি

বিকল্পপথে ফেসবুক চালানো বিচ্ছিন্ন ঘটনা

বিভিন্ন দেশের নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে বিকল্পপথে ফেসবুক চালানোকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে উড়িয়ে দিলেন বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন (বিটিআরসি) এর চেয়ারম্যান ড. শাজাহান মাহমুদ।শুক্রবার সকালে জাগো নিউজকে ড. শাজাহান মাহমুদ বলেন, বন্ধ রাখা যোগাযোগমাধ্যমগুলোর বিকল্প ব্যবহার বিচ্ছিন্ন ঘটনা মাত্র। এতে জনস্বার্থ বিঘ্নিত হওয়ার আশংকা নেই। আর জনস্বার্থ বিবেচনা করেই ফেসবুক, ভাইবার, হোয়াটসঅ্যাপ, ইমু, লাইনসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে।  তিনি বলেন, ফেসবুকসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বন্ধের নির্দেশনা এখনো অব্যাহত আছে। এসব মাধ্যম কেউ যেনো ব্যবহার করতে না পারে সেজন্য দেশের ২৬টি ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে (আইআইজি) ব্লক করা হয়েছে। বিটিআরসি চেযারম্যানের মতে, এরপরও কেউ এসব ব্যবহার করলে তারা বিকল্প পদ্ধতিতে তা করছেন। তবে এই ব্যবহারের পরিমান খুবই সামান্য। আমরা এতে শংকিত নই। তিনি আরো বলেন, রাষ্ট্রের নিরাপত্তার জন্যে সরকার চাইলে এসব সিদ্ধান্ত নিতেই পারে। তবে যেকোন মুহূর্তে এসব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো খুলে দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।এদিকে বাংলাদেশে সব বয়সী মানুষের কাছে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক বন্ধ থাকায় এ নিয়ে মানুষের মধ্যে ক্ষোভ জন্মাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন অনেকে।ফেসবুক ব্যবহার করতে না পারা কাফরুল এলাকার ব্যবসায়ী জাকির হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, এত জনপ্রিয় একটি সামাজিক যেগাযোগমাধ্যম বন্ধ করে মানুষের ব্যক্তি স্বাধীনতাকে হরণ করা হয়েছে। এটি অপ্রত্যাশিত। আমরা সাধারণ মানুষ আমাদের দাবি ফেসবুক খুলে দিন।বনানী সি ব্লকের ৪ নং সড়কের বাসিন্দা প্রযুক্তিবিদ এজাজ মাহমুদ পবন বলেন, বিশ্বায়নের যুগে প্রযুক্তির হাত পা বেধে রাখা মুসকিল। কারণ দেশের রোমিং করা সিম দিয়ে সব ধরনের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করা সম্ভব এবং অনেকেই সেটি করছেন। সরকারের পক্ষে এসব সিম বন্ধ করার কোনো উপায় নেই। একইভাবে ভিপিএন (ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক) সফটওয়্যার ব্যবহার করেও ফেসবুকসহ সব ধরনের নেটওয়ার্কে প্রবেশ সম্ভব। বিটিআরসি বা সরকারের কঠোর মনোভাবের কারণে মানুষ এসব বিকল্প পথে ফেসবুক ব্যবহার করছে।আরএম/এআরএস/এমএস

Advertisement