কুমিল্লায় বাসে পেট্রলবোমা হামলায় নিহত কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার বরইতলী ইউনিয়নের মোহাম্মদ ইউছুপ ও রাশেদুল ইসলাম বাদশার মরদেহ বৃহস্পতিবার উত্তোলন সম্ভব হয়নি। হরতালের কারণে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সময়মতো উপস্থিত হতে না পারায় এমনটি হয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। তবে পূর্ব নির্ধারিত এইদিনে মরদেহ উত্তোলনের জন্য প্রশাসন সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছিল। বেলা ১১টার দিকে নিহতদের বাড়ির পাশের কবরস্থানে উপস্থিত হন মরদেহ উত্তোলনে দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাহেদুল ইসলাম, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (চকরিয়া সার্কেল) মো.মাসুদ আলম, চকরিয়া থানার ওসি প্রভাষ চন্দ্র ধর, বরইতলী ইউপি চেয়ারম্যান এটিএম জিয়া উদ্দিন চৌধুরী জিয়া ও হারবাং পুলিশ ফাড়ির আইসি দেবাশীস সরকারসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা। ওইসময় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হাজির হতে না পারায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সাহেদুল ইসলাম মরদেহ দুটি উত্তোলনের জন্য শনিবার নতুন তারিখ ধার্য করেছেন।জানা গেছে, চলতি বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি রাতে কক্সবাজার থেকে ছেড়ে যাওয়া ঢাকাগামী আইকন পরিবহনের (ঢাকা মেট্রো-ব-১৪-৪০-৮০) যাত্রীবাহী একটি বাস ঢাকা যাওয়ার পথে চট্টগ্রাম-ঢাকা মহাসড়কের কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের জগমোহনপুর এলাকায় পেট্রলবোমায় আক্রান্ত হন। এতে ঘটনাস্থলে ও পরে আটযাত্রী দগ্ধ হয়ে মারা যান। নিহতদের মধ্যে ছিলেন কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার হারবাং ইউনিয়নের আবু তাহের, বরইতলী ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের মোহাম্মদ ইউসুফ ও মোহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম।তাদের মধ্যে আবু তাহেরের ময়নাতদন্ত হয় মারা যাওয়ার পর। তবে ইউছুপ ও বাদশাসহ অন্যদের মরদেহ কুমিলার জেলা প্রশাসন মানবিক কারণে ময়নাতদন্ত না করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে। ফলে এ ঘটনায় দায়ের করা মামলার তদন্ত করতে গিয়ে আইনি জটিলতা দেখা দেয়। এ অবস্থায় তদন্ত কর্মকর্তা আদালতের কাছে ফের মরদেহগুলো উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের আবেদন করেন। এরই প্রেক্ষিতে গত ২ সেপ্টেম্বর কুমিল্লার সিনিয়র জুড়িশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক প্রাথমিক সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত রিপোর্ট নিশ্চিত করতে কবর থেকে মরদেহগুলো উত্তোলনের নির্দেশ দেন।চকরিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রভাষ চন্দ্র ধর জাগো নিউজকে বলেন, মোহাম্মদ ইউছুফ ও রাশেদুল ইসলামের মরদেহ কবর থেকে তুলে ফের ময়নাতদন্ত করতে বৃহস্পতিবার প্রস্তুতি সম্পন্ন করে থানা পুলিশ। কিন্তু বৃহস্পতিবার হরতালের কারণে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থানার এসআই মোহাম্মদ ইব্রাহীম উপস্থিত হতে না পারায় মরদেহ উত্তোলন করা যায়নি। শনিবার মরদেহ উত্তোলনের জন্য ফের নির্দেশ দিয়েছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। সায়ীদ আলমগীর/এমজেড/এমএস
Advertisement