গাজীপুরে চোর সন্দেহে এসনেহার বেগম (৩৮) নামে মানসিক প্রতিবন্ধী এক নারীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠিছে। শুক্রবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) মহানগরীর কুনিয়া পাচর এলাকার একটি বাড়িতে এ ঘটনার পর হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তার মৃত্যু হয়।
Advertisement
নিহত এসনেহার বেগম কুমিল্লা জেলার মৃত সুলতান মিয়ার মেয়ে। তিনি টঙ্গীর তিস্তারগেট এলাকার ভ্যান চালক মোহাম্মদ হোসেনের স্ত্রী।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, সকালে কুনিয়া পাচরে আওয়ামীলীগ নেতা শহীদ উল্লাহর ছয়তলা বাড়িতে চোর সন্দেহে এসনেহারকে আটক করা হয়। পরে সকাল ১১টায় ওই বাড়ি থেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে প্রথমে স্থানীয় তায়রুন্নেছা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরে টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে দুপুরে তাকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
বাড়ির মালিক গাজীপুর মহানগর আওয়ামীলীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মো. শহীদ উল্লাহ বলেন, ‘আমি রাজধানীর উত্তরায় থাকি করি। ভাড়াটিয়ারা এক নারী চোরকে আটক করেছে সকালে আমাকে জানায়। আমি তাদেরকে পুলিশে খবর দিতে বলি। পরে আমি বাড়িতে এসে পুলিশের সহযোগিতায় ওই নারীকে হাসপাতালে নিয়ে যাই।’
Advertisement
ওই নারী গণপিটুনীতে মারা গেছে দাবি করে তিনি বলেন, ‘প্রতিদিনই বাসা-বাড়িতে চুরির ঘটনায় এলাকাবাসী অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। ফলে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসীর গণপিটুনীতেই এসনেহার মারা গেছেন।’
তবে আশপাশের লোকজন জানান, ‘ওই বাড়ির বাইরে কোন গণপিটুনীর ঘটনা ঘটেনি। বাড়ির ভেতরেই ওই নারীকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।’
নিহতের স্বামী মোহাম্মদ হোসেন জানান, ‘এসনেহার মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। দুটি শিশু সন্তান ঘরে রেখে সে প্রায়ই বাইরে বের হয়ে যেত। স্ত্রী চুরি করতে পারে না বলেও তিনি দাবি করেন।
এ ব্যাপারে গাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘শুনেছি ওই নারীর মানসিক সমস্যা ছিল। তাকে কি কারণে হত্যা করা হয়েছে তা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
Advertisement
মো. আমিনুল ইসলাম/আরএইচ/জিকেএস