আন্তর্জাতিক

মিয়ানমারের ওপর এবার যুক্তরাজ্য-কানাডার নিষেধাজ্ঞা

গত সপ্তাহে মিয়ানমারের জান্তা সরকারের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। এবার ‘গণতন্ত্র রক্ষায়’ একই পথে হাঁটল যুক্তরাজ্য ও কানাডা। সেনা অভ্যুত্থানে জড়িত মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর নেতাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে তারাও। খবর রয়টার্সের।

Advertisement

রাখাইনে মুসলিম রোহিঙ্গাদের ওপর বর্বর নির্যাতনের দায়ে মিয়ানমারের সেনাপ্রধান মিন অং হ্লেইংসহ বেশ কয়েকজন শীর্ষ সেনা কর্মকর্তার ওপর আগে থেকেই নিষেধাজ্ঞা ছিল যুক্তরাজ্যের।

বৃহস্পতিবার ব্রিটিশ সরকার জানিয়েছে, তারা মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারী তিন জেনারেলের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত ও ভ্রমণ নিষিদ্ধ করছে।

ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডমিনিক রাব বলেছেন, যুক্তরাজ্যের পাশাপাশি তাদের মিত্র দেশগুলোরও মিয়ানমারের লোকদের সুবিচার পেতে সাহায্য করা উচিত।

Advertisement

এদিন কানাডাও ঘোষণা দিয়েছে, তারা জান্তা সরকারের প্রধান মিন অং হ্লেইংসহ মিয়ানমারের নয়জন শীর্ষ সেনা কর্মকর্তার ওপর একই ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে।

কানাডীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্ক গার্নাউ বলেছেন, কানাডা তার আন্তর্জাতিক অংশীদারদের মতোই মিয়ানমার সেনাবাহিনীর হাতে অং সান সু চিসহ অভ্যুত্থানের সময় আটক নেতাদের মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছে।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর ওপর যুক্তরাজ্য-কানাডার নিষেধাজ্ঞাকে স্বাগত জানিয়েছেন।

এক টুইটে তিনি বলেছেন, জবাবদিহিতার প্রচারে আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে একটি ঐক্যবদ্ধ বার্তা পাঠানোর আহ্বান জানাই। মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীকে অবশ্যই গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকার ফিরিয়ে আনতে হবে।

Advertisement

নতুন নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে মিয়ানমারের জান্তা সরকার এখনও কোনো মন্তব্য করেনি। তবে গত মঙ্গলবার দেশটির সামরিক বাহিনীর এক মুখপাত্র সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, তাদের কাছে এধরনের নিষেধাজ্ঞা অনুমেয়।

সূত্র: রয়টার্স, এনএইচকে

কেএএ/এমএস