দেশজুড়ে

সামাজিক বনায়নের লভ্যাংশ পেলেন ৫৪ উপকারভোগী

কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের জোয়ারিয়ানালা রেঞ্জের জোয়ারিয়ানালা বিটে ২০০৫-০৬ সালে সৃজিত সামাজিক বনায়নের লভ্যাংশের চেক বিতরণ করা হয়েছে। এ সময় করা ৫৪ হেক্টর বনায়নের বিপরীতে ৫৪ জন উপকারভোগী নির্বাচন করা হয়েছিল। এসব বনে উৎপাদিত গাছ বিক্রি করে মিলেছে ৬৮ লাখ ৪৪ হাজার ৮৫৫ টাকা। ১০ শতাংশ টাকা পরবর্তী বনায়নের জন্য গচ্ছিত রেখে বাকি ৯০ শতাংশের অর্ধেক ৩০ লাখ ৮০ হাজার ৫৭২ টাকা ৫৪ জন উপকারভোগীদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে।

Advertisement

বৃহস্পতিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের শহীদ এটিএম জাফর আলম সম্মেলন কক্ষে এ চেক বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়। কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. তহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আমিন আল পারভেজ।

তিনি বলেন, বন বাঁচলে দেশ বাঁচবে। বন বাড়ানো গেলে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা হবে। বিশ্বের জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতি থেকে বাঁচার জন্য এবং পরবর্তী প্রজন্মকে সুস্থ রাখতে বেশি বেশি গাছ লাগানোর পাশাপাশি বনজ সম্পদ রক্ষায় এগিয়ে আসতে হবে।

সামাজিক বনায়নে উপকারভোগীদের উদ্দেশে আমিন আল পারভেজ বলেন, এ সামাজিক বনায়ন বর্তমান সরকারের দারিদ্র্য বিমোচনের একটি প্রকল্প। গাছ লাগিয়ে নিজের পরিবারের স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে আনতে গাছের পরিচর্যা করা নৈতিক দায়িত্ব। শুধু বাণিজ্যিক গাছ নয়, পরিবেশ ও স্বাস্থ্য রক্ষায় ঔষধি গাছও লাগাতে হবে।

Advertisement

সভাপতির বক্তব্যে ডিএফও তহিদুল ইসলাম বলেন, সরকার বন রক্ষায় উপকারভোগীদের সম্পৃক্ত করেছে। এতে সরকারের টাকায় স্থানীয় হতদরিদ্ররাও মুনাফা পাচ্ছেন। তাই নিজেরদের আয়ের উৎস বাড়াতে এবং পৃথিবীকে বাসযোগ্য ভূমিতে পরিণত করতে গাছ লাগানোর আহ্বান জানান তিনি।

জোয়ারিয়ানালার রেঞ্জ কর্মকর্তা সুলতান মাহমুদ টিটুর সঞ্চালনায় বিকেল চারটা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত চলা চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসনের এডিসি মাখন চন্দ্র সূত্রধর, কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের বিশেষ টিমের ওসি (রেঞ্জ কর্মকর্তা) এ কে এম আতা এলাহীসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারিরা উপস্থিত ছিলেন।

আলোচনা শেষে ২০০৫-২০০৬ সালের সামাজিক বনায়ন রক্ষণাবেক্ষণে করা ৭ গ্রুপের ৫৪ জন উপকারভোগীদের মাঝে লভ্যাংশের চেক হস্তান্তর করা হয়।

সায়ীদ আলমগীর/এমএসএইচ/এমএস

Advertisement