আইন-আদালত

রায়ের কপি কারাগারে

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরী ও জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের রিভিউ আবেদন খারিজের রায়ের পূর্ণাঙ্গ কপি ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পৌঁছেছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল থেকে রায়ের কপি বৃহস্পতিবার রাত ৮টা ৪২ মিনিটে কারাগারে পৌঁছায়।রায়ের কপি ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যান আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ডেপুটি রেজিস্ট্রার ও সিনিয়র সহকারী জজ আফতাবুজ্জামান ও সিনিয়র আইন গবেষণা কর্মকর্তা ফাহিম ফয়সালসহ ট্রাইব্যুনালের প্রতিনিধিরা। রায়ের কপি নিয়ে তারা ৮টা ৪২ মিনিটে কারাগারে প্রবেশ করেন এবং ৮টা ৫১ মিনিটে বের হয়ে আসেন।এর আগে রায়ের কপি সুপ্রিম কোর্ট থেকে ট্রাইব্যুনালে পৌঁছানোর পর সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় ট্রাইব্যুনালের সামনে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম সাংবাদিকদের জানান, রায় কার্যকরের বিষয়টি সম্পূর্ণ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ব্যাপার তাই আপনারা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলেন। তারা এ ব্যাপারে বলতে পারবেন।রাষ্টপতির কাছে ক্ষমা চাওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ক্ষমা চাওয়া না চাওয়া তাদের (সাকা-মুজাহিদ) বিষয়। আর ক্ষমা চাইলে রাষ্ট্রপতি তাদেরকে ক্ষমা করবেন কি না সেটাও দেখার বিষয়।এর আগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে আনুষ্ঠানিকভাবে রায় দুটি প্রকাশ করা হয়। রায় দুটিতে স্বাক্ষর করেন প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের চার সদস্যের বেঞ্চ। বেঞ্চের অপর সদস্যরা হলেন- বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।রায় দুটিতে স্বাক্ষরের পরে সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে সুপ্রিমকোর্টের অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার জেনারেল অরুণাভ চক্রবর্তী কড়া পুলিশি নিরাপত্তায় ট্রাইব্যুনালে পৌঁছান।উল্লেখ্য, গতকাল বুধবার মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরী ও জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের করা রিভিউ আবেদন খারিজ করে দেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। ফলে তাদের মৃত্যুদণ্ডই বহাল রয়েছে। এখন রায় কার্যকরে আর আইনি বাধা নেই। তবে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাইতে পারবেন তারা।এআর/জেইউ/এসএইচএস/পিআর

Advertisement