আকরাম খান, নাইমুর রহমান দুর্জয়, খালেদ মাহমুদ সুজন, মিনহাজুল আবেদিন নান্নু আর হাবিবুল বাশার সুমন- পাঁচজনই জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক। তারা সবাই বর্তমান বোর্ডের সাথে সম্পৃক্ত।
Advertisement
তবে সবার পরিচয় ও পদবি এক নয়। প্রথম তিনজন বোর্ড পরিচালক। শেষের দুজন জাতীয় দলের নির্বাচক। আজ (বুধবার) বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দীর্ঘ সময় নিয়ে তাদের সঙ্গে একান্তে কথা বলেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।
ধারণা ছিল, বিসিবি প্রধান জাতীয় দলের ওই পাঁচ সাবেক অধিনায়ককে কোনো জরুরি বার্তা বা কিছু ঢেলে সাজানোর পরামর্শ দিয়েছেন। কিন্তু নাইমুর রহমান দুর্জয় বৈঠক শেষে বলেন, ‘নাহ। বিসিবি সভাপতি কোনো বার্তা দেননি। বরং সবার কথা মন দিয়ে শুনেছেন।’
দুর্জয় বলেন, ‘বার্তা তো আমাদের কাছে যাবে না। বার্তা তো আমরা দেব। সামনে আরও সিরিজ আছে। সেগুলোতে আমাদের বোর্ডের পলিসি কি হবে, এগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কিন্তু কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়ার মতো কিছু হয়নি।’
Advertisement
বিসিবি পরিচালক আরও জানান, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজে জাতীয় দলের পারফরম্যান্স নিয়ে খোলামেলা আলোচনা হয়েছে। সেখানে সবাই যার যার মত দিয়েছেন। দুর্জয়ের কথা, ‘এটা আলোচনায় আসছে, আসাটাই স্বাভাবিক। কার চোখে কী ধরা পড়েছে, কার মাথায় কী এসেছে, কি করলে ভালো হতো। আরও ভালো উন্নতি করতে পারতাম। এ ধরনের আলোচনা হয়েছে। স্বাভাবিকভাবে আপনারাও করেন এই ধরনের আলোচনা।’
দল নিয়ে বড় কোনো সিদ্ধান্ত হয়েছে? এমন প্রশ্নে দুর্জয় বলেন, ‘দলের ব্যাপারটা আসলে নির্বাচকরা বলতে পারবেন। সামনে যেহেতু আরেকটা সিরিজ আছে, সেক্ষেত্রে আমার মনে হয় যে পরিবর্তনের যেসব কথা বলছেন, সেরকম কিছু মনে হয়নি। বোর্ড প্রধান বরং পরিবর্তন না করে আমরা কীভাবে এখান থেকে উত্তরণ করতে পারি সেটি নিয়ে কথা বলেছেন। সবার মাথা থেকে, সবার আইডিয়া থেকে শেয়ার করা হয়েছে।’
বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট অধিনায়ক স্বীকার করেছেন যে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্টের প্রস্তুতির জন্য দীর্ঘ পরিসরের ক্রিকেট জরুরি ছিল। বোর্ডের ইচ্ছা ছিল প্রস্তুতির জন্য লঙ্গার ভার্সনের দু-একটা ম্যাচ আয়োজন করার। কিন্তু সেটা সম্ভব হয়নি।
দুর্জয় বলেন, ‘আমরা এটাও জানি যে, এখন পরিস্থিতিটাও স্বাভাবিক না কোভিডের কারণে। বায়ো-বাবল যেন লম্বা না হয়, সে কারণে টিম ম্যানেজমেন্ট চাচ্ছিল না এতটা দিন বায়ো-বাবল সিকিউরিটির মাঝে থাকি। আলটিমেটলি সেখানে তো প্রস্তুতির ঘাটতিটা তো রয়েই গেল। সেই জিনিসগুলো সামনে আরও গভীরভাবে চিন্তা করা যায় কি না, তা নিয়েও কথা হয়েছে।’
Advertisement
এআরবি/এমএমআর/এমএস