জাতীয়

ক্রেতার চাহিদার কারণেই ভুয়া মিনিকেট-নাজির চাল বাজারে

দেশে মিনিকেট ও নাজির নামে কোনো ধানের জাত-ই নেই। জিরাশাইল ও কাটারিভোগের মতো সরু চাল ছাঁটাই করে তৈরি হয় মিনিকেট। আর নাজিরশাইল থেকে নাজির নামের চালের ব্র্যান্ডের উৎপত্তি হয়েছে।

Advertisement

ক্রেতারাই সাদা চকচকে চাল বেশি পছন্দ করেন বলে এসব পালিশ করা চাল বাজারে বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু সবচেয়ে পুষ্টিকর চাল লাল চাল। সেটা ভোক্তারা পছন্দ করেন না।

বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) এসব তথ্য জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ মজুমদার। চতুর্থ নিরাপদ খাদ্য দিবস ২০২১ উদযাপন উপলক্ষ্যে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানের খাদ্যমন্ত্রী প্রধান অতিথি ছিলেন।

এদিকে ওই সংবাদ সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন খাদ্য সচিব মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম এবং সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আব্দুল কাইউম।

Advertisement

এ সময় খাদ্যমন্ত্রী বলেন, নিরাপদ চাল খেতে চাইলে লাল চাল খেতে হবে। কিন্তু এখন সবারই চকচকে চাল পছন্দ। এর জন্য মিলাররা চাল ছাঁটাই করছে। এরপর পালিশ করে চকচকে সাদা বানাচ্ছে। এসব চালের বিক্রি বেশি কিন্তু এর পুষ্টিমান কম। এসব খাওয়া বন্ধ করতে হবে।

এ সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে খাদ্য সচিব বলেন, আমরা একটি গবেষণা করেছি, তাতে মিনিকেট নামের দেশে কোনো ধানের জাত পাওয়া যায়নি। নাজির নামেও নেই। নাজিরশাইল থেকে নাজির ও বিভিন্ন সরু চাল মিনিকেট নামে বিক্রি হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, এখন মিনিকেট নাজির এগুলো ‘ব্র্যান্ড নেম’। এসব আমরা বন্ধ করতে চাই। তবে সেটা হটাৎ করে সম্ভব নয়। তাতে দাম ও সরবরাহে বড় প্রভাব পড়বে। অদূর ভবিষ্যতে আমরা এ লক্ষ্যে এগিয়ে যাব।

এনএইচ/এমআরআর/এমকেএইচ

Advertisement