পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার বিস্তীর্ণ রুহুল বিলে নানা প্রজাতির প্রায় ২০ লাখ টাকার মাছ মারা গেছে। যেসব মাছ মারা গেছে সেগুলোর বেশির ভাগই রুই, কাতলা, মৃগেল, শোল-গজার, টেংরা,পুঁটি,মেনি বা ভেদা,বাইম প্রভৃতি দেশীয় প্রজাতির। বৃহস্পতিবার সকালে বিলে অসংখ্য মরা মাছ ভাসতে দেখা যায়। বিলের কোথাও কোথাও মাছের সঙ্গে কিছু মৃত বক পাখিসহ অন্যান্য পাখিও ভাসতে দেখা গেছে। উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জাগো নিউজকে বলেন, গত মঙ্গলবার বৃহত্তর রুহুল বিলে এলাকার প্রায় ৫০ হাজার লোক একযোগে মাছ ধরতে নামায় পানি নোংরা হয়ে গেছে। ফলে অক্সিজেন অভাবে মাছ মারা যেতে পারে। এদিকে মৃত মাছ খেয়ে বক পাখির মৃত্যুর ঘটনায় অভিজ্ঞমহলে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। অনেকেরই ধারণা বিলে বিষ প্রয়োগের ফলে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। রুহুল বিল মৎস্যজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক গোলাম হাফিজ জাগো নিউজকে জানান, বর্তমান বিলে পানির আয়তন ৮০ একর এবং পানির গড় উচ্চতা চার ফুট। তাই মাছ মরার সঠিক কারণ তাদের কাছেও বোধগম্য নয়। জানা গেছে, স্থানীয় মৎস্যজীবী সমিতি ও রুহুল বিল অভয়াশ্রম মৎস্যজীবী সমিতির মধ্যে বিলে প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিরোধ চলছে। এ কারণে যে কেউ এই ঘৃণ্য কাজটি করতে পারে বলে অনেকেই সন্দেহ করছেন। এছাড়া অভয়াশ্রমের নামে গত বছর মা মাছ রক্ষা না করে প্রভাবশালীরা ভক্ষণ করায় অনেকেই ক্ষুব্ধ বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন। মৎস্য কর্মকর্তা অবশ্য এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শামছুল আলম জাগো নিউজকে বলেন, ঘটনা যেটাই ঘটুক তা দুঃখজনক। বিষ প্রয়োগের প্রমাণ পাওয়া গেলে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। সেই সঙ্গে মাছের অভয়াশ্রম রক্ষার সর্বাত্মক চেষ্টা চালানো হবে।একে জামান/এমজেড/পিআর
Advertisement