কষ্টে আছেন দেশের প্রায় ২ কোটি ফেসবুক ব্যবহারকারী। যদিও এর কিছু অংশ প্রক্সি সার্ভার ব্যবহার করে সক্রিয় রয়েছেন ফেসবুকে। সূত্র বলছে, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) প্রায় ৯০ শতাংশ সক্রিয় ফেসবুক ব্যবহারকারীকে নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছেন। তবে ১০ শতাংশ কারিগরিভাবে বেশি দক্ষ হওয়ায় তারা প্রক্সি সার্ভার ব্যবহার করতে পারছেন। বিটিআরসি’র হিসাব বলছে, দেশে সক্রিয় ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৫ কোটি ৪০ লাখ। এর মধ্যে শুধু ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১ কোটি ৭০ লাখ। যাদের বড় একটি অংশ মোবাইল ফোনে ফেসবুক ব্যবহারকারী। হারুনুর রশিদ একজন সক্রিয় ফেসবুক ব্যবহারকারী। তিনি বলেন, প্রায় ২৪ ঘণ্টা ধরে ফেসবুকে যেতে পারছি না। মনে হয় নিজে পিছিয়ে পড়ছি। কারণ ফেসবুক থেকে অনেক আপডেট তথ্য পান এই চাকরিজীবী। আরেক ফেসবুক ব্যবহারকারী মাহবুবুর আলম বলছেন, কি যেন হারিয়ে গেছে জীবন থেকে। তবে কেউ কেউ ফেসবুক ব্যবহার নিয়ে নেতিবাচকও বলছেন। তারা বলছেন, ফেসবুক নিয়ে আমরা অনেক সময় নষ্ট করছি। এতে অনেক কর্ম ঘণ্টা নষ্ট হচ্ছে।জানা যায়, বাংলাদেশে ফেসবুকে ১৩ থেকে ১৭ বছর বয়সী ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১৭ শতাংশ এবং ১৮ থেকে ২২ বছর বয়সীদের হার ৪২ শতাংশ। অবশ্য বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান বলছেন, যেকোনো সময় সামাজিক যোগাযোগের এই মাধ্যমগুলো খুলে দেয়া হবে।এসএ/একে/পিআর
Advertisement