ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার এমপি এবং মন্ত্রী পদের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট খারিজ করে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ সংক্রান্ত এক রিটের শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ এর একক বেঞ্চ এই আদেশ দেন। এই আদেশের ফলে তাঁর স্ব-পদে বহাল থাকতে আর কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন মায়ার আইনজীবী আবদুল বাসেত মজুমদার। এদিন আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ। মায়ার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আবদুল বাসেত মজুমদার ও সাঈদ আহমেদ রাজা। এর আগে গত ৭ জুলাই রিট আবেদনটি দায়ের করেন আইনজীবী মো. ইউনুছ আলী আকন্দ।গত ১৪ জুন একটি দুর্নীতি মামলায় মায়াকে খালাস করে হাইকোর্টের দেয়া রায় বাতিল করে নতুন করে আপিল শুনানির আদেশ দেন আপিল বিভাগ। আপিল বিভাগের এই রায়ের পরে মায়ার পদে থাকা নিয়ে দুই রকম বক্তব্য আসে। এ অবস্থায় দুর্নীতির মামলায় খালাসের রায় বাতিল হওয়ার পর কোন কর্তৃত্ববলে এখনো মন্ত্রী ও এমপি পদে রয়েছেন- দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মায়ার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন।আবেদনে বলা হয়, সংবিধান অনুযায়ী দণ্ডিত ব্যক্তি সংসদ সদস্য বা মন্ত্রী পদে থাকতে পারেন না। সংবিধানের ওই অনুচ্ছেদে সংসদে নির্বাচিত হওয়ার যোগ্যতা ও অযোগ্যতার বিষয়ে বলা হয়েছে, যদি কেউ নৈতিক স্খলনজনিত কোনো ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে অন্যূন দুই বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন এবং তার মুক্তিলাভের পর পাঁচ বছরকাল অতিবাহিত না হয়ে থাকে, তবে তিনি সংসদ সদস্য থাকার যোগ্য হবেন না।তার আগে গত ১৭ আগস্ট রিটের ওপর শুনানি করে বিভক্ত আদেশ দেন হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ। ওই বেঞ্চের সিনিয়র বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী কোন কর্তৃত্বের বলে মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া সংসদ সদস্য এবং মন্ত্রীপদে আছেন তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। দুই সপ্তাহের মধ্যে মায়াকে উক্ত রুলের জবাব দিতে বলা হয়। অপরদিকে কনিষ্ঠ বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল রিটটি (সামারি রিজেক্ট) খারিজ করে দিয়েছেন।পরে তা আইন অনুযায়ী আবেদনটি প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠানো হয়। রিটের বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য প্রধান বিচারপতি দ্বিতীয় বেঞ্চ গঠন করে দেন। বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতির নির্ধারণ করে দেয়া বেঞ্চ রিটটি খারিজ করে দেন।এফএইচ/এসএইচএস/আরআইপি
Advertisement