‘প্রতিটি গানে দর্শকরা আমাদের সঙ্গে নেচেছে। অনেকেই হয়তো আমাদের ভাষা বুঝতে পারেনি। কিন্তু তাতে তাদের উচ্ছ্বাসে এতটুকুও ভাটা পড়েনি। আর পরিবেশনা শেষে উৎসব পরিচালক রাজীব দাদা আমাদের কাছে এসে অভিনন্দন জানিয়েছেন। আমাদের সম্মানে একটি নৈশ্যভোজেরও আয়োজন করেন তিনি।’ কথাগুলো বলছিলেন চিরকুট ব্যান্ডের গায়িকা সুমি।৩ নভেম্বর অষ্টম দক্ষিণ এশিয়ান ব্যান্ড উৎসবে অংশ নেওয়ার জন্য ভারতে গিয়েছিল ব্যান্ড চিরকুট। ৫ থেকে ৭ নভেম্বর আয়োজিত এ উৎসবে অন্য ছয়টি দেশের সঙ্গে নয়াদিল্লির পুরনো কেল্লায় পরিবেশনায় অংশ নেয় দলটি। তবে পরিবেশনা শেষে সবার মুখে ঘুরে ফিরছে দলটির নাম। সে উচ্ছ্বাসের ছিঁটেফোটা পাওয়া গেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে।৭ নভেম্বর সন্ধ্যায় ছিল চিরকুটের পরিবেশনা। এদিন তারা ৬টি গান গায়। এগুলো হলো ‘ধন ধান্য পুষ্পে ভরা’, ‘কানামাছি’, ‘বন্ধু’, ‘আমি জানি না’, ‘জাদুর শহর’ ও ‘নিরানন্দ’।এর আগে ৫ নভেম্বর ব্যান্ডের সদস্যরা ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবন মিলনায়তনে রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির উপস্থিতিতে সংগীত পরিবেশন করেন। আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণের পর চিরকুটের জন্য ছিল রাষ্ট্রপতির আরও বড় চমক।সুমি বলেন, ‘এবারের সফর আমাদের জন্য ছিল অত্যন্ত সম্মানের। পরিবেশনার পর খোদ রাষ্ট্রপতি আমাদের রাতে থেকে যাওয়ার দাওয়াত দেন। সেদিনের দলগুলোর মধ্যে একমাত্র আমরাই রাষ্ট্রপতির এ বিশেষ আমন্ত্রণ পেয়েছিলাম। এটা আমাদের জন্য বিরল সম্মানের। এমন একটি সফরের জন্য আমরা বিশেষ করে ধন্যবাদ দিতে চাই- দিল্লিতে নিযুক্ত বাংলাদেশ হাইকমিশনার, ঢাকায় অবস্থিত ইন্দিরা গান্ধী সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ও আমাদের শ্রোতাদের। তাদের জন্যই এত সুন্দরভাবে একটি সফর শেষ করতে পেরেছি।’অষ্টম দক্ষিণ এশিয়ান ব্যান্ড উৎসবে চিরকুটকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল ভারত সরকারের স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর কালচারাল রিলেশনস (আইসিসিআর)। উৎসবের যৌথ আয়োজক আইসিসিআর এবং ভারতীয় এনজিও শেহের। এতে বাংলাদেশ ছাড়াও দক্ষিণ এশিয়ার ভারত, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, ভুটান, মালদ্বীপ, নেপাল ও শ্রীলঙ্কার জনপ্রিয় ব্যান্ড অংশ নেয়।
Advertisement