জাপানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় রোববার জানিয়েছে, তারা ফাইজার-বায়োএনটেকের করোনাভাইরাস ভ্যাকসিনের অনুমোদন দিয়েছে। এটিই দেশটিতে করোনাভাইরাসের জন্য অনুমোদন পাওয়া প্রথম কোনো ভ্যাকসিন। খবর রয়টার্সের।
Advertisement
সরকারের একটি প্যানেল শুক্রবার ভ্যাকসিনটি সুপারিশ করার পর এর অনুমোদনও প্রায় নিশ্চিত হয়ে যায়। দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী নরিহিসা তামুরা তখন বলেছিলেন, জাপান যত দ্রুত সম্ভব ফাইজারের ভ্যাকসিনের চূড়ান্ত অনুমোদন দেবে।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদে সুগা জানিয়েছেন, আগামী সপ্তাহের মাঝামাঝি নাগাদ ভ্যাকসিন প্রয়োগ কার্যক্রম শুরু হবে। প্রথম পর্যায়ে ১০ হাজার স্বাস্থ্যকর্মীকে ভ্যাকসিন দেয়া হবে। বছরের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে দেশটির সাড়ে ১২ কোটি জনগণকে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন দেয়া সম্পন্ন হবে বলে আশা প্রকাশ করছে দেশটির সরকার।
বিদেশি ভ্যাকসিন নির্মাতাদের ওপর নির্ভরশীলতা ও ভ্যাকসিনের ট্রায়াল স্থানীয় পর্যায়ে হওয়ার আবশ্যিকতার কারণে ভ্যাকসিন কর্মসূচী শুরু করতে দীর্ঘ অর্থনৈতিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে গেছে জাপান।
Advertisement
এদিকে, গত ২৮ জানুয়ারি দেশটির প্রধান ক্যাবিনেট সেক্রেটারি কাৎসুনোবু কাতো জানিয়েছেন, জাপানের জন্য করোনাভাইরাসের ৯ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন বানাবে ব্রিটিশ ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানি অ্যাস্ট্রাজেনেকা।
কয়েক মাস পরে জাপানে অলিম্পিক গেমের আসর বসবে। এর মধ্যেই দেশটি করোনার তৃতীয় ঢেউ মোকাবিলা করছে। গত বছর করোনার তৃতীয় ও সবচেয়ে মারাত্মক ঢেউটি আঘাত হানার পরে এখনো দেশটির অধিকাংশ জায়গায় জরুরি অবস্থা জারি আছে। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে সেখানে সংক্রমণ কমতির দিকে রয়েছে। টোকিওতে রোববার চারশোরও কম মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
জাপানে এখন পর্যন্ত ৪ লাখ ১০ হাজার মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন এবং মৃত্যু হয়েছে ৬ হাজার ৭৭২ জনের। আগামী ২৩ জুলাই থেকে রাজধানী টোকিওতে অলিম্পিক গেমস শুরু হবে।
এমকে/জিকেএস
Advertisement