প্রেমিক-প্রেমিকাদের মধ্যে জুটির ধরণ ভিন্ন হয়ে থাকে। কোনো দম্পতি অনেক খোলামেলা আবার কেউবা প্রিয়জনকে নিয়ে সবার আড়ালে থাকতেই পছন্দ করেন।
Advertisement
আশেপাশে একটু নজর দিলেই এমনটি দেখা যায়। কেউ-কেউ লজ্জার মাথা খেয়ে রাস্তা-ঘাটেও ঘনিষ্টতা বজায় রাখেন। আবার অনেকে প্রেমিকার হাত ধরতেও লজ্জাবেধ করেন।
এমনও দেখবেন, যারা একে-অপরকে ছাড়া এক সেকেন্ডও থাকতে পারেন না। ভালোবাসার এ দিনে জেনে নিন আপনাদের জুটির ধরণ কেমন?
>> আপনাদের প্রেম বাল্যকালের? তাহলে এ প্রেম টিকিয়ে রাখা বেশ কষ্টকর। আপনারা যদি সেই অসাধ্য সাধন করে থাকেন, তাহলে অনেক অভিনন্দন। বাল্যকাল থেকেই যারা জুটি গড়েছেন; তারা সবার চেয়ে একটু আলাদাই হন। বন্ধুত্বই এদের সম্পর্কের মূল ভীত।
Advertisement
>> অনেকেই আছেন, যারা সঙ্গী ছাড়া একদিনও থাকতে পারেন না। মন খারাপ কিংবা আনন্দ সবকিছুতেই সঙ্গী ভরসা। উঠতে বসতে একে-অপরের সঙ্গে সময় কাটাতেই এরা স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। লোকসমাজের কাছে হয়তো এটা অত্যন্ত বাড়াবাড়ি বা লোক দেখানো বলে মনে হতে পারে! তাই বলে ‘লাভ বার্ডস’ নিজেদেরকে কখনোই বদলে ফেলবেন না!
>> খেয়াল করে দেখবেন রাস্তাঘাটে এমন অনেক জুটি দেখতে পারবেন, যারা নিজেদের ভালবাসার কথা পুরো দুনিয়াকে জানাতে পছন্দ করেন। এসব আচরণ হয়ত অন্যদের কাছে বিরক্তির কারণ হতে পারে। তবে অনেকের কাছেই এটা খুব স্বাভাবিক ঘটনা। তাই আপনিও যদি এমন ধরনের হন; এতে লজ্জা পাওয়ার কিছু নেই।
>> সহকর্মীর সঙ্গে অনেকেই প্রেমে জড়িয়ে পড়েন। এটা স্বাভাবিক, তবে বিষয়টি নিয়ে অফিসে যাতে কানাঘুষা না হয়; সেদিকে নজর রাখাটাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ। সম্পর্কের কথা লুকিয়ে রাখটাই ভালো এক্ষেত্রে। তবে কাজের ফাঁকে মাঝে মধ্যে ইশারা চলতেই পারে!
>> অনেক দম্পতি রয়েছেন, যাদেরকে নিয়ে মানুষের কৌতূহল থাকে তুঙ্গে। এদেরকে কোনো প্রশ্ন করলেই উত্তর এড়িয়ে যাওয়াটা তাদের কাছে খুবই সাধারণ বিষয়। আসলে এরা সব কিছু নিয়েই বিভ্রান্ত থাকেন। পুরো জীবনই- এটা করা উচিত, না ওটা, এভাবেই তারা কাটিয়ে দেন।
Advertisement
জেএমএস/এমএস