নীলফামারী জেলার জলঢাকা পৌরসভার নির্বাচনকে ঘিরে সরগরম হয়ে উঠেছে পৌর এলাকা। সম্ভাব্য প্রার্থীরা তফসিল ঘোষণার আগেই নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেছেন। দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার আশায় মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা ভোটারদের মন জয়ের পাশাপাশি জ্যেষ্ঠ নেতাদের মন জয়ের জন্য সকল প্রকার তদবির ও চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। এবারেই প্রথম স্থানীয় সরকার নির্বাচন দলীয় প্রতীকে হওয়ায় দলীয় নেতাকর্মীদের কদর বেড়েছে একটু বেশী। ২০০৯ সালে এ পৌরসভায় জাতীয় পার্টির সমর্থন নিয়ে মেয়র হয়েছিলেন ইলিয়াছ হোসেন বাবলু। এবারও জাপা সমর্থন নিয়েই পৌর নির্বাচনে অংশ নিবেন তিনি। অন্যদিকে এ নির্বাচনে বিএনপি, জামায়াত ও জাসদ তাদের একক দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করলেও বিপাকে পড়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। সরকার দলীয় একাধিক মনোনয়ন প্রত্যাশী ইতোমধ্যে বিভিন্ন ব্যানার ফেস্টুন টানিয়ে, মতবিনিময় সভা কিংবা উঠান বৈঠকের মাধ্যমে দোয়া চাইছেন। পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশা করে যারা মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন তারা হলেন, উপজেলা সাবেক যুবলীগ সভাপতি, কেন্দ্রীয় যুবলীগ সদস্য ও বর্তমান উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াহেদ বাহাদুর, উপজেলা জাতীয় শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহিনুর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা ও ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সাধারণ সম্পাদক একে আজাদ ও উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক সারোয়ার হোসেন সাদের। অপরদিকে, বিএনপি প্রার্থী হিসেবে গত পৌর নির্বাচনে সামান্য ভোটের ব্যবধানে পরাজিত সাবেক পৌর মেয়র আনোয়ারুল হক কবির চৌধুরীর একমাত্র ছেলে জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি ফাহমিদ ফয়সাল কমেট চৌধুরীর নাম চূড়ান্ত হয়ে রয়েছে। কিন্তু ২০ দলীয় জোটের অন্যতম শরীক জামায়াতে ইসলামী এবারে তাদের পৌর নির্বাচনে জামায়াতের পৌর আমীর আলহাজ মকবুল হোসেনকে প্রার্থী হিসেবে চূড়ান্ত করে পৌর মাঠে নির্বাচনী কাজ শুরু করেছে। ১৪ দলীয় জোটের অন্যতম শরীক জাসদ জেলা সভাপতি অধ্যাপক আজিজুল ইসলাম দলীয় মনোনয়ন পেয়ে পৌরবাসীর কাছে দোয়া চেয়ে পোস্টার ছাপিয়েছেন। সুধি মহলের আলোচনায় জানা গেছে, যদি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ যোগ্য প্রার্থীকে মনোনয়ন দেয়, তাহলে পৌরসভাটি তারা দখলে নিতে পারবে। অন্যথায় আবারও পৌরসভাটি হাতছাড়া হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। জলঢাকা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সেকান্দার আলী জাগো নিউজকে বলেন, জলঢাকা পৌরসভায় মোট ভোটার ২৯ হাজার ৫৭৬ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ১৫ হাজার ৪৯ ও মহিলা ভোটার ১৪ হাজার ৫২৭ জন।জাহেদুল ইসলাম/এমজেড/এমএএস/আরআইপি
Advertisement