ধর্ম

জুমআর নামাজের খুতবাহ শোনার বিশেষ আদব

মুসলমানদের সপ্তাহিক প্রধান ইবাদত হলো জুমআর খুতবাহহ শোনা এবং নামাজ আদায় করা। এ দিন মুসল্লিরা আজান হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নামাজের প্রস্তুতি নিয়ে দ্রুত মসজিদের দিকে চলে আসবে। কুরআনুল কারিমের নির্দেশনাও এটি। মসজিদে এসে মনোযোগের সঙ্গে আদব রক্ষা করে জুমআর খুতবাহহ শোনাও ইবাদত। এ ব্যাপারে রয়েছে হাদিসের সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা। কী সেই দিক নির্দেশনা?

Advertisement

জুমআর দিন মসজিদে এসেই নির্ধারিত নামাজ আদায় করে সামনের (প্রথম) কাতার থেকে সারি পূরণ করে বসে যাওয়া এবং জুমআর খুতবাহহ শোনার জন্য অপেক্ষা করাই অন্যতম আদব। তবে জুমআর খুতবাহহ শোনার সময়ও রয়েছে কিছু আদব ও নিয়ম।

জুমআর খুতবাহহ অত্যন্ত চুপচাপ, মনোযোগ, একাগ্রতা, আসক্তি, আবেগ ও আগ্রহের সঙ্গে শোনা। আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের দিকনির্দেশনাগুলো সর্বান্তকরণে আমল করার জন্য বিশৃঙ্খলা না করে নিরবে মনোযোগ দিয়ে ভালোভাবে শোনার নির্দেশনা দিয়েছেন বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। হাদিসে পাকে এসেছে-রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি গোসল করে জুমআর নামাজ পড়তে এসে নির্ধারিত (সুন্নাত) নামাজ পড়ল; তারপর নিরবে (বসে অত্যন্ত মনোযোগ ও একাগ্রতার সঙ্গে খুতবাহ শুনতে) থাকল, দ্বিতীয় খুতবাহ থেকে অবসর হওয়ার পর ইমামের সঙ্গে ফরজ নামাজ আদায় করল; তার গত এক জুমআ থেকে অন্য জুমআ (এক সপ্তাহ) বরং আরও অতিরিক্তি তিন দিনের অর্থাৎ গত ১০ দিনের গোনাহ মাফ করে দেয়া হলো।’ (মুসলিম)

অন্য এক বর্ণনায় এসেছে, (খুতবাহর গুরুত্ব এত বেশি যে,) খতিব খুতবাহ দেয়ার জন্য বের হয়ে (মিম্বারে) এলে তখন (মসজিদে উপস্থিত মুসল্লিদের জন্য) কোনো নামাজ পড়া এবং কথা বলাও জায়িজ নেই।’ (ইবনে মাজাহ)

Advertisement

মনে রাখতে হবে জুমআর খুতবাহ হচ্ছে মুমিন মুসলমানের জন্য হেদায়েত ও কল্যাণের নসিহত। জীবন পরিচালনার পথনির্দেশিকা। যা ভালোভাবে একাগ্রতার সঙ্গে শোনে সে অনুযায়ী আমল করাই মুমিনের একান্ত কাজ।

সুতরাং জুমআর দিন মসজিদে এসে কোলাহল, বিশৃঙ্খলা, কথাবার্তা ও শোরগোল করা যাবে না। নির্ধারিত সুন্নাত নামাজ পড়ে মনোযোগের সঙ্গে খুতবাহ শোনার জন্য অপেক্ষা করা। খুতবাহ শুরু হলে তা একাগ্রতার সঙ্গে আমলের নিয়েতে শোনাই মুমিন মুসলমানের একান্ত দায়িত্ব ও কর্তব্য।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে জুমআর দিন একাগ্রতার সঙ্গে জুমআর খুতবাহ শোনার তাওফিক দান করুন। খুতবাহ অনুযায়ী জীবন পরিচালনা ও আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

এমএমএস/এমএস

Advertisement