এক বছরের বেশি সময় ধরে বিশ্বে তাণ্ডব চালাচ্ছে করোনাভাইরাস। চীন থেকে প্রাদুর্ভাব হওয়া এই প্রাণঘাতী ভাইরাসে কোটি কোটি মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। মারা যাওয়ার সংখ্যাও কম নয়। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সংক্রমণ কমার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।
Advertisement
পরিসংখ্যানভিত্তিক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১০ কোটি ৭৮ লাখ ৫৩ হাজার ৯৫। এদের মধ্যে মারা গেছে ২৩ লাখ ৬৪ হাজার ৯৩৮ জন। ইতোমধ্যেই করোনা থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে ৭ কোটি ৯৮ লাখ ৫৫ হাজার ৯৩৭ জন।
এখন পর্যন্ত করোনায় সবচেয়ে বিপর্যস্ত যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে আক্রান্ত ও মৃত্যু সবচেয়ে বেশি। যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা এখন পর্যন্ত ২ কোটি ৭৮ লাখ ৯৭ হাজার ২১৪। এর মধ্যে মারা গেছে ৪ লাখ ৮৩ হাজার ২০০ জন। দেশটিতে করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছে ১ কোটি ৭৮ লাখ ২৭ হাজার ৩২৩ জন।
সংক্রমণে যুক্তরাষ্ট্রের পরেই রয়েছে ভারত। সেখানে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ১ কোটি ৮৭ লাখ ১ হাজার ৬০। এর মধ্যে মারা গেছে ১ লাখ ৫৫ হাজার ৩৯৯ জন। দেশটিতে ইতোমধ্যেই সুস্থ হয়ে উঠেছে ১ কোটি ৫ লাখ ৭১ হাজার ৬২৯ জন।
Advertisement
এদিকে ব্রাজিলে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ৯৬ লাখ ৬২ হাজার ৩০৫ জন। দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ২ লাখ ৩৪ হাজার ৯৪৫ জন। ইতোমধ্যেই সুস্থ হয়ে উঠেছে ৮৫ লাখ ৯৬ হাজার ১৩০ জন।
রাশিয়ায় এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৪০ লাখ ১২ হাজার ৭১০। এর মধ্যে মারা গেছে ৭৮ হাজার ১৩৪ জন। দেশটিতে করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছে ৩৫ লাখ ১৬ হাজার ৪৬১ জন।
যুক্তরাজ্যে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৩৯ লাখ ৮৫ হাজার ১৬১। এর মধ্যে মারা গেছে ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৫১ জন। ইতোমধ্যেই সুস্থ হয়ে উঠেছে ২০ লাখ ১৮ হাজার ৮৪৪ জন।
ফ্রান্সে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৩৩ লাখ ৮৫ হাজার ৬২২। এর মধ্যে মারা গেছে ৮০ হাজার ৪৪৩ জন। দেশটিতে ইতোমধ্যেই করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছে ২ লাখ ৩৭ হাজার ১১৩ জন।
Advertisement
এদিকে, স্পেনে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৩০ লাখ ২৩ হাজার ৬০১। এর মধ্যে মারা গেছে ৬৩ হাজার ৭০৪ জন। ইতালিতে আক্রান্তের সংখ্যা ২৬ লাখ ৬৪ হাজার ২৬৬। এখন পর্যন্ত মারা গেছে ৯২ হাজার ৩৩৮ জন।
তুরস্কে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ২৫ লাখ ৫৬ হাজার ৮৩৭। এর মধ্যে মারা গেছে ২৭ হাজার ৯৩ জন। অপরদিকে, জার্মানিতে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ২৩ লাখ ১১ হাজার ২৯৭। দেশটিতে এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৬৩ হাজার ৯৭৯ জনের। ইতোমধ্যেই সুস্থ হয়ে উঠেছে ২০ লাখ ৭৩ হাজার ১০০ জন।
এছাড়া ভাইরাসটির উৎপত্তিস্থল চীনের অবস্থান তালিকায় ৮৩তম স্থানে। দেশটিতে বর্তমানে আক্রান্তের সংখ্যা ৮৯ হাজার ৭৩৬ জন। এর মধ্যে ৪ হাজার ৬৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। সেখানে করোনায় প্রথম কোনো রোগীর মৃত্যু হয় গত বছরের ৯ জানুয়ারি। ওই বছরের ১৩ জানুয়ারি চীনের বাইরে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় থাইল্যান্ডে। পরে ধীরে ধীরে সারা বিশ্বে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে।
করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে গত বছরের ৩০ জানুয়ারি বৈশ্বিক স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। গত বছরের ২ ফেব্রুয়ারি চীনের বাইরে করোনায় প্রথম কোনো রোগীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটে ফিলিপাইনে। এরপর গত ১১ মার্চ করোনাকে বৈশ্বিক মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
বিএ/এমকেএইচ