অদম্য এক যুবক। জয়পুরহাট সরকারি কলেজে বিএ তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। কাঁচা ব্যাঙ, কেঁচো, কাঁকড়া, শামুক, কাঁচা মাংস এমনকি বিষধর সাপসহ সকল জীবজন্তু জন-সম্মুখে চিবিয়ে খেয়ে তাক লাগিয়ে দিচ্ছেন সবাইকে। বলছি জয়পুরহাট শহরের আরাফাত নগর এলাকার ঈদগাহ কলোনির বাসিন্দা ও পুলিশ সদস্য শফিকুল ইসলামের বড় ছেলে জাহাঙ্গীর আলমের কথা। দুই ভাই আর এক বোনের মধ্যে জাহাঙ্গীর ছোটবেলা থেকেই বেশ চঞ্চল প্রকৃতির। জাহাঙ্গীর যেখানেই যাচ্ছেন কৌতুহলী শিশু-কিশোর-যুবকরা তার পিছু পিছু ছুটছেন নতুন কিছু দেখার আশায়। জাহাঙ্গীর এখন যেন হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা। জয়পুরহাট সিও কলোনি এলাকার তরুণ ব্যবসায়ী মাহমুদুল হাসান মেহেদী, সোনারপট্টি এলাকার রোজা জুয়েলার্সের সত্ত্বাধিকারী রেজাউল করিম রেজা, বিশ্বাসপাড়া এলাকার বেলাল হোসেন বিজলুসহ অনেকে জানান, জাহাঙ্গীর যদি এ চর্চা অব্যাহত রাখেন এবং পৃষ্ঠপোষকতা পান তাহলে একদিন এমন আরো অনেক অসাধ্যকেও সাধন করতে পারবেন। তার এমন দুঃসাহসী কর্মকাণ্ড দেখতে প্রতিদিনই জেলাসহ আশপাশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসছেন শত শত দর্শনার্থী। জয়পুরহাটের কালাই উপজেলা শহরের আতাউর রহমান, সেলিম ছরোয়ার খান শিপন, আক্কেলপুর উপজেলা শহরের সফিউল আলম, পাঁচবিবি উপজেলা শহরের সুমন চৌধুরীসহ স্থানীয় অনেক সাংবাদিক জানান, জাহাঙ্গীরকে গণমাধ্যমগুলোতে অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়া হলে তিনি দেশের জন্য সুনাম ও প্রচুর অর্থ আনতে সক্ষম হবেন। অন্যদিকে প্রতিকূল পরিবেশে ও দুর্গত অঞ্চলের সাধারণ মানুষরা বেঁচে থাকার উৎস ও উপায় শিখতে পারবেন।জাহাঙ্গীর আলম জাগো নিউজকে জানান, ডিসকভারি টেলিভিশন চ্যানেলে দুর্গম ভ্রমণ বিষয়ক অনুষ্ঠানে বিয়ারগ্রিলের অনুকরণে তিনি সেগুলোর অভ্যাস গড়ে তুলছেন। বাংলাদেশ আর্মিতে প্যারা কমান্ড প্রশিক্ষণসহ গণমাধ্যমে তাকে সুযোগ দেয়া হলে তিনিও দেশের জন্য সুনাম ও অর্থ বয়ে আনতে পারবেন বলে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন এই যুবক। ব্যক্তিগত সহায়তার পাশাপাশি তাকে সরকারি-বেসরকারি সুযোগ দেয়া হলে তিনিও দেশের সীমানা ছাড়িয়ে বিদেশ থেকেও সুনামসহ বৈদেশিক মুদ্রা আনতে সক্ষম হবে বলে মনে করেন জয়পুরহাটবাসী।রাশেদুজ্জামান/এসএস/আরআইপি
Advertisement