দেশজুড়ে

জনবল সঙ্কটে মতলব দক্ষিণ সরকারি হাসপাতাল

জনবল সঙ্কটে চলছে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট মতলব দক্ষিণ সরকারি হাসপাতাল। তাছাড়া মাতৃসেবা কেন্দ্রটির ভবনে ফাটল ও জরাজীর্ণ হওয়ায় পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। নেই কোনো অ্যাম্বুলেন্স। ফলে নানাবিধ সমস্যা নিয়ে চলছে হাসপাতালটি।      হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জাগো নিউজকে জানায়, ১৯৬৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় মতলব হাসপাতালটি। ২০১১ সালের ২৯ নভেম্বর মতলব উত্তর উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একটি পুরাতন অ্যাম্বুলেন্স দিয়ে প্রায় তিন বছর এ হাসপাতালের কার্যক্রম চালানো হয়। গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর থেকে অ্যাম্বুলেন্সটি সম্পূর্ণ বিকল হয়ে যায়। আরও জানা যায়, হাসপাতালের পরিচ্ছন্নতা কর্মীর পদ দুইটি, ক্যাশিয়ার একজন, এমএলএসএস দুইজন, জুনিয়র টেকনিশিয়ান একজন, কনসালটেন্ট তিনজন, সাকমো দুইজন, স্টোরকিপার একজন, ড্রাইভার একজনসহ মোট ১৩টি পদ শূন্য রয়েছে। ফলে হাসপাতালের কার্যক্রম পরিচালনা করতে হিমসিম খেতে হচ্ছে। এদিকে, দীর্ঘ কয়েক বছর যাবত হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্সটি বিকল হওয়ায় অ্যাম্বুলেন্স সমস্যার কারণে রোগীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এ হাসপাতালটির পরিচ্ছন্নতা কর্মীর সঙ্কট থাকায় সেবার ক্ষেত্রে অনেক সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে প্রতিদিনই ৬০/৭০ জন রোগীকে সেবা দিতে হচ্ছে। এছাড়া রয়েছে হাসপাতালের রোগীদের বেডের সঙ্কট। চাহিদা অনুযায়ী বেড না থাকায় রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিতে সমস্যা হচ্ছে। অপরদিকে, হাসপাতালের অত্যাবশ্যকীয় মাতৃসেবা কেন্দ্রের ভবনটি ফাটল ও ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় এটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করে হাসপাতালের অন্য ভবনে চিকিৎসা সেবা দিতে হচ্ছে। তাছাড়া হাসপাতাল চত্বরে দালালদের উৎপাত বেড়ে যাওয়ায় রোগীদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। প্রতিদিনই এ হাসপাতালে মতলব উত্তর ও মতলব দক্ষিণ উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে সাধারণ মানুষ চিকিৎসা নিতে এসে দালালদের খপ্পরে পড়ছে। হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা আরিফ উল্যা, মাহবুব মোল্লা, হাসিনা বেগম ও রাবেয়া ভূঁইয়া জাগো নিউজকে জানান, সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা সুবিধা কম। কিন্তু এ হাসপাতালে এসে কোনো চিকিৎসাই পাওয়া যাচ্ছে না। মায়েদের মাতৃসেবা কেন্দ্রটি বন্ধ থাকায় নারীদের বেশি দুর্ভোগ হচ্ছে বলে তারা জানায়। এছাড়া চিকিৎসা নিতে এসে বেশিরভাগ সময় চিকিৎসা ছাড়াই বাড়ি যেতে হয়। মতলব দক্ষিণ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনার ডা. একেএম মাহাবুবুর রহমান জাগো নিউজকে জানান, হাসপাতালের সমস্যার বিষয় নিয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি। শিগগিরই মতলব হাসপাতালের নতুন অ্যাম্বুলেন্স চলে আসবে। আমাদের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন (মায়া) বীর বিক্রম অ্যাম্বুলেন্সটির জন্য স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বরাবরে ডিউলেটার পাঠিয়েছেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর স্বাক্ষরে ডিউলেটারটি মন্ত্রণালয়ে জমা আছে। অ্যাম্বুলেন্স সারাদেশে সরবরাহ হলেই আমরাও নতুন অ্যাম্বুলেন্স মতলব দক্ষিণে বরাদ্দ পাব। তিনি আরও বলেন, ৫০ শয্যা বিশিষ্ট  হাসপাতালে পরিচ্ছন্নতা কর্মীর পদ সঙ্কট রয়েছে। তবে ৫টি পদের মধ্যে তিনজন কর্মরত রয়েছেন। একজন বরখাস্ত ও একটি পদ শূন্য রয়েছে। বর্তমানে এ হাসপাতালে আরও পরিচ্ছন্নতা কর্মীর প্রয়োজন। এসএস/আরআইপি

Advertisement