আজ ভ্যালেন্টাইন উইকের চতুর্থ দিন। ওয়ার্ল্ড টেডি ডে। প্রতি বছরের ১০ ফেব্রুয়ারি ‘টেডি ডে’ হিসেবে পালিত হয়। এ দিনে সবাই প্রিয়জনকে টেডি বিয়ার উপহার দিয়ে থাকেন।
Advertisement
প্রিয়জনের মন ভোলাতে টেডি বিয়ারের জুড়ি মেলা ভার। মেয়েদের খুব পছন্দের একটা জিনিস। শিশুদেরও দারুণ পছন্দের টেডি বিয়ার। তবে আপনি কি জানেন টেডি বিয়ারের জন্ম কীভাবে?
টেডি বিয়ার আবিষ্কৃত হয় প্রেসিডেন্ট থিওডোর রুজভেল্টের সম্মানে। ১৯০২ সালের ১৪ নভেম্বর মিসিসিপিতে ভ্রমণে যান প্রেসিডেন্ট। মিসিসিপির গভর্নর অ্যান্ড্রু এইচ লঙ্গিনো প্রেসিডেন্টকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন ভালুক শিকারের জন্য।
যদিও প্রেসিডেন্টের সঙ্গীদের মতোই থিয়োডোর একটি ভালুকও খুঁজে পাননি সেদিন। তখন রুজভেল্টের সহকারীরা একটি কালো ভালুক ধরে উইলো গাছের সঙ্গে বেঁধে দেয়। সেটিকে গুলি করার জন্য সঙ্গীরা পরামর্শ দেন প্রেসিডেন্টকে। তবে রুজভেল্ট বিষয়টিকে একেবারেই পছন্দ করেননি।
Advertisement
তার এ ঘটনার খবর পরবর্তীতে বিভিন্ন সংবাদপত্রে ছাপানো শুরু হয়। রুজভেল্ট শুধু একজন রাষ্ট্রপতিই ছিলেন না, তিনি ছিলেন বড় একজন শিকারী!
একজন রাজনৈতিক কার্টুনিস্ট ক্লিফোর্ড বেরিম্যান রুজভেল্টের এ ঘটনাটি সংবাদপত্রে পড়েন। তিনি ওই ঘটনার একটি ব্যঙ্গচিত্র আঁকেন। বেরিম্যানের কার্টুনটি ওয়াশিংটন পোস্টে ১৬ নভেম্বর ১৯০২ সালে প্রকাশিত হয়েছিল।
এরপর ব্যবসায়ী মরিস মিচটম ও তার স্ত্রী রোজ ভালুকের মতো একটি খেলনা তৈরি করেন এ ব্যঙ্গচিত্র দেখে। আর সেটি রাষ্ট্রপতির জন্য উত্সর্গ করেন। তারা এটিকে ‘টেডির বিয়ার’ হিসেবে তখন নামকরণ করেন।
রুজভেল্টের নাম ব্যবহারের যখন অনুমতি পান মিচটম; তখন টেডি বিয়ার প্রচুর জনপ্রিয়তা অর্জন করে। এদিকে ব্যবসায়ে লাভবান হয়ে রাশিয়ান ব্যবসায়ী মিচটম শীঘ্রই আইডিয়াল টয় সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। যা মিচটমের মৃত্যুর পরে যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তম পুতুল তৈরির প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়।
Advertisement
এনপিএস/জেএমএস/এএসএম