দেশজুড়ে

শীতলক্ষ্যায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযানে বাধা

নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে বিআইডব্লিউটিএ`র উচ্ছেদ অভিযানে বাধা দিয়েছে অবৈধ দখলদাররা। এসময় তারা লাঠিসোটা নিয়ে হামলারও চেষ্টা করে। এমনকি কতিপয় মুক্তিযোদ্ধারাও তাদের দখলকৃত জায়গা উচ্ছেদে বাধা দেয়।পরে ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের মাধ্যমে ১০ দিনের মধ্যে সকল অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নেয়ার সময় বেঁধে দেয় বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ। তবে এর আগে বন্দর সেন্ট্রাল খেয়াঘাট এলাকায় অবৈধ বাজারসহ শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে বিআইডব্লিউটিএ।বুধবার বিকেলে শীতলক্ষ্যা নদীর তীর দখলমুক্ত রাখতে কর্তৃপক্ষ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন। ওইসব স্থাপনা থেকে নিয়মিত ভাড়া আদায় করে আসছিলেন কতিপয় মুক্তিযোদ্ধা, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নামধারী নেতারা। বুধবার বন্দর থানা পুলিশকে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ একাধিকবার খবর দেয়া হলেও তারা কেউ আসেনি।জানা গেছে, দুপুরে থেকে বিকেল পর্যন্ত বন্দর সেন্ট্রাল খেয়াঘাট এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদীর পূর্ব তীরে শতাধিক অবৈধ স্থাপনা এক্সাভেটরের মাধ্যমে ভেঙে গুড়িয়ে দেয় বিআইডব্লিউটিএ। যার মধ্যে ছিল একটি বাজার, মুক্তিযোদ্ধা ডকইয়ার্ড ও আবুল হোসেন ডকইয়ার্ডের নামে অবৈধ স্থাপনা।অভিযানকালে নারায়ণগঞ্জের যুগ্ম পরিচালক আরিফ উদ্দিন, উপ-পরিচালক গোলাম মোস্তফা, সহকারী পরিচালক রেজাউল করিমসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন। অভিযান শুরুর পর নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান সেন্ট্রাল খেয়াঘাট এলাকায় এসে অভিযানের প্রশংসা করেন।এদিকে মুক্তিযোদ্ধা ডকইয়ার্ডের নামে স্থাপিত সাইকেল স্ট্যান্ড এবং সততা একতা সমবায় সমিতির (ময়মনসিংহ পট্টি) নামে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করতে গেলে বাধার সম্মুখীন হন কর্তৃপক্ষ। সততা একতা সমবায় সমিতির নামে ওই এলাকায় অন্তত তিন শতাধিক অবৈধ স্থাপনা গড়ে তোলা হয়েছে।বিআইডব্লিউটিএ নারায়ণগঞ্জের যুগ্ম পরিচালক আরিফ উদ্দিন জাগো নিউজকে জানান, মানবিক দিক বিবেচনা করে অবৈধ দখলদারদের সময় দেয়া হয়েছে। তবে ১ ডিসেম্বরের মধ্যে তারা অবৈধ দখল না ছাড়লে কোনো বাধাই মানা হবে না। শীতলক্ষ্যা নদীকে দখলমুক্ত রাখতে আমরা বদ্ধপরিকর।মো. শাহাদাত হোসেন/বিএ

Advertisement